ক বি তা
একবার আকাশ দেখতে চেয়েছিলাম
তারপর নক্ষত্রের দৌড়
তারপর আগামীর গরিমা
আস্তে আস্তে এগিয়ে গিয়েছে বয়স
তুমি, আমি
আর আমাদের সম্পর্কের পাশে গড়ে ওঠা
অবন্তী নগর।
তুমি আলপনার আদলে গান গাও
প্রভাতে।
খেজুর রসের হাঁড়িতে শীতের ছোঁয়াচ,
সচলায়তনও অনুভব হয়।
দু’হাত ভর্তি, কালির দোয়াতে
অক্ষর জমে আছে ঠাকুরদাদার মতো।
আমি বলিনি। তুমিও
দ্যাখোনি ছায়ার ঠিক পাশেই হাট-খোলা
দোকানদানি।
সেখানে রোজকার যত্ন-আত্তি আড়মোড়া ভাঙে।
ধোঁয়ার টানে উঠে যায় দুপুরের বাড়ি ফেরা।
কলতান নিয়ে ধ্রুপদ আলয় সেজে ওঠে।
চৌকাঠে লেখা আছে শ্রী শ্রী দেবীর পাদস্পর্শ…
আচমন করার পর, হাতে এলো এক সন্ধ্যা।
চারিদিকে তন্ময় প্রবাহী বাতাস,
পরিচয়ে ধ্যানমগ্ন অপূর্ব লালিত্য।
শরীরের ভঙ্গিতে বৃক্ষের ঘ্রাণ, তবু
অন্ধকার যেন মায়াবী মারীচ। দেখি
বনদেবীর চাতালের পাশে আধভাঙা ঘটে
প্রাচীন শ্যাওলা, অথচ কপালে সিঁদুর
পরিপাটি।
কী বলে ডাকি তোমায়! মধুকাঞ্চন, নাকি
অন্তরের ঔদার্য প্রকাশিত সীতাহার!
একবার জলোচ্ছ্বাসে ভেসে ওঠে
বোধনের আনন্দ, তারপর
কবিতার লাইনের সাথে এগিয়ে যাওয়া
শালডিহা পথের মেঠো রাত।
গতরাতেও দেখেছি নারী। তুমি
চুল এলিয়ে বারান্দায়: ঝাপসা
আবডালের এদিকে অক্ষর-অশ্রুর চলন।
উলুধ্বনির উৎসবে মেতে ওঠা
রাতপাখির চোখের ঘনত্ব; কিছুটা
অসম্পৃক্ত। উঠোনে, মনসাঝাঁপির
সামনে খোলা চুল। ফুল দেয়া। সুগন্ধি দেয়া।
অথচ একটুও জল নেই ঠোঁটে।
অঙ্কুরোদগমের পর রাতরাণী ফুটেছিল যখন,
তখন ঘুম ভাঙা সকাল দু’পা ছড়িয়ে,
মাটিতে মিশে গেছে আলপনা, রজঃ আর আমার
অব্যক্ত কথা।