গু চ্ছ ক বি তা
সিড়ি ভেঙে উঠে
তুমি এসে বসো
চৌকাঠে।
আমি দূর থেকে
চিৎকার করি
‘চৌকাঠে বসতে নেই’
তুমি
শোনো না
বসেই থাকো।
আমিও তো বসি
আমারও মনে থাকে না।
হোঁচট খায় আমাদের সম্পর্ক।
সিঁড়ি ভেঙে কতো দূর উঠে এলাম
তাও ফুরোচ্ছে না!
সত্যিই উঠছি তো আমি?
নাকি যাওয়ারই মন নেই।
থমকে দাঁড়িয়ে ভাবতে থাকি
কয়েকশো মজুর এসে
আরও সিঁড়ির ধাপ বানাতে থাকে।
বাড়তে থাকে আমাদের সম্পর্কের সিঁড়ি
বদলে যায় গোটা বাড়ির অবয়ব।
তবুও ওপরে উঠি,
সিঁড়ি শেষ হয় একসময়
সবকিছুর সাথেই।
তোমার ঘরে না ঢুকে ছাদে চলে আসি।
ঘরে ঢুকেই তুমি
খুলে দাও
জানালা।
আলো-বাতাস-হাতছানি
রোদ্দুর স্পষ্ট করে তোলে
জীর্ণ অবয়ব।
পর্দায় আড়াল করার
বৃথা চেষ্টা করি।
বড্ডো ভারী ঠেকে পাল্লাগুলো।
হাতছানি উপেক্ষা করতে পারো না তুমি।
শুধু দমকা বাতাসই
আমায় ঘুম পাড়িয়ে দেয়।
ধীরে ধীরে খসে পড়ছে
চুন-সুরকির প্রলেপ।
বেরিয়ে পড়া ইটের নকশা
ভাঙনও এতো সুন্দর
অবাক হয়ে দেখতাম দু’জনে।
করিনি কিছুই
আসা-যাওয়ার চোরাপথ
গোপন সাতমহলা
বানিয়েছি আরো।
ঝড়-জল-মান-অভিমান
কেঁপে ওঠে সম্পর্কের ভিত।
ছাদেও আজ
বড্ডো ভিড়
দাঁড়াবার জায়গা নেই।
মরশুমি গাছ, চড়াইয়ের
সাজানো সংসার
মাঝে মাঝে শুকনো পাতার
আনাগোনা
তার মাঝে
আমার জায়গা কোথায়?
সিঁড়ি ভেঙে ছাদে
আসতে আসতেই তো
অনেক সময় পেরিয়ে গেছে।
ঘুম আর
আসবে না কোনোদিন।