কে তা বি ক থা
খোয়াই
সম্পাদক । অভিজিৎ দাশগুপ্ত
বনহুগলী, কোলকাতা
বনহুগলী থেকে প্রকাশিত ‘খোয়াই’ এই সময়ের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যপত্র। কবি, প্রবন্ধকার অভিজিৎ দাশগুপ্ত দীর্ঘদিন ধরে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সম্পাদনা করে চলেছেন পত্রিকাটি। সাধারণ সংখ্যার পাশাপাশি ইতিমধ্যে প্রকাশিত বেশ কয়েকটি বিশেষ সংখ্যা। প্রতিটি সংখ্যাই তাঁর সম্পাদনার মুন্সিয়ানায় আদায় করে নিয়েছে নিবিষ্ট পাঠককুলের কুর্নিশ। গুণীজনদের পাশাপাশি তরুণ লেখকদের উপস্থিতি এই পত্রিকার অন্যতম বৈশিষ্ট। আলোচ্য সংখ্যাটিতে আছে একাধিক কবির একাধিক কবিতা। আছেন গোলাম রসুল, স্বপন শর্মা, রাহুল ঘোষ, সঞ্চিতা ঘোষ, শমিত মন্ডল, বিশ্বজিৎ প্রমুখ। আছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ আলোচনা। প্রচ্ছদ করেছেন অঙ্গিরা দাশগুপ্ত।
যাচ্ছেতাই
সম্পাদক । শুভদীপ দে
চুঁচুড়া, হুগলি
হুগলির চুঁচুড়া শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পত্রিকা। সেই শুরু থেকে দশ বছর ধরে পত্রিকাটি স্বমহিমায় মহিমান্বিত। ত্রৈমাসিক পত্রিকাটি আয়তনে তন্বী হলেও অসংখ্য নবীন এবং প্রবীন কবিদেরও চারণ ক্ষেত্র। পত্রিকার সর্বত্র সম্পাদক শুভদীপ দে-র যত্ন ও অক্লান্ত পরিশ্রমের ছাপ সুস্পষ্ট। তিনি নিজেও একজন কবি। সর্বশেষ সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে ‘বিজয়া ১৪২৯’-এ। এই সংখ্যার বিশেষ আকর্ষণ ছিল হরিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর কলমে কবি শংকর দাশ-এর স্মৃতিচারণ। এই সংখ্যায় কবিতা লিখেছেন কবি জগদীশ শর্মা, সাধন বারিক, ঋজু ভৌমিক, শীর্ষেন্দু দত্ত, রক্তিম ভাত্যাচারিয়া প্রমুখ। সুন্দর প্রচ্ছদ করেছেন পৌলমী রায়চৌধুরী।
নিরন্তর
সম্পাদক । গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়
কল্যাণী, নদীয়া
‘কাল থেকে কালাতীতের যাত্রালিপি সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতি বিষয়ক চতুর্মাসিক’— এই ভাবনা নিয়ে ২০১২ থেকে পথ চলা শুরু কল্যাণী শহরের অন্যতম গুরুত্ব এই পত্রিকাটির। প্রতিটি সংখ্যায় একটি মূলভাবনা থাকে। সমাজ-সাহিত্য-শিক্ষা থেকে শুরু করে রাজনীতি অবধি অবলীলায় বিচরণ পত্রিকাটির। প্রথম সংখ্যায় ভাবনা ছিল ‘বাংলা আমার ভাষা’ আবার পরের সংখ্যায় ভাবনা ‘শিক্ষাঙ্গনে নৈরাজ্য’। এমন ভাবনা-চিন্তায় সেজে উঠে এখনো অবধি প্রকাশিত হয়েছে ২৩টি সংখ্যা। প্রতিটি সংখ্যা যে পাঠককে ঋদ্ধ করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এছাড়াও থাকে নিয়মিত বিভাগ কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, সমসাময়িক সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও গ্ৰন্থ আলোচনা। সর্বশেষ সংখ্যার বিষয় ‘ভারতদ্রষ্টা আম্বেদকর’। বিষয় বৈচিত্রে সত্যিই পত্রিকাটি আন্তরিক প্রশংসার দাবি রাখে। প্রচ্ছদ পরিকল্পনা অরিন্দম দে।
এখন তমোহা
সম্পাদক । সুরজিৎ সেনগুপ্ত
রিষড়া, হুগলি
‘এখন তমোহা’-র সর্বশেষ সংখ্যাটি শারদ সংখ্যা। সাত বছর ধরে এখনো অবধি বারোটি সংখ্যা করেছেন সম্পাদক ও প্রকাশক সুরজিৎ সেনগুপ্ত। রিষড়া, হুগলি থেকে পত্রিকাটি নিয়মিত প্রকাশিত হয়। পত্রিকাটি ছিমছাম হলেও পাঠকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। প্রবীণ ও নবীন কবি-লেখকদের মেলবন্ধন পত্রিকাটিকে অন্য মাত্রা দেয়। সর্বশেষ সংখ্যায় আছে বেশ কিছু প্রবন্ধ, গল্প, কবিতা। লিখেছেন সদ্য প্রয়াত কবি প্রণব বসুরায়, গোলাম রসুল, রত্নদীপা দে ঘোষ, দেবাশিস চন্দ, চন্দন রায়, অরুপ রতন হালদার, দেবাশিস ঘোষ, বর্ণময় বাড়ৈ, তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। আমাদের আশা পত্রিকাটি সকলের প্রিয় হয়ে উঠবে।