ক বি তা
ক্রমশ রাতের কাছে সব কিছু হেরে গিয়ে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া খুনি,
আলোতে দাঁড়িয়ে তাকে প্রশ্ন করেছি আমি, কিছু যদি শেষ দাবি থাকে;
একটা কোমল হাসি, একটা ঠিকানা দিল, “এ বাড়িতে যে আছে তরুণী,
আমি না থাকার পর, তাকে তো থাকতে হবে, এ হাসি পৌঁছে দিও তাকে।”
আমিও দীর্ঘশ্বাস, সে হাসি কুড়িয়ে নিয়ে, দুটো পায়ে এলাম পিছিয়ে,
ভেবেছি প্রশ্ন করি, কেন এ খুনের দায়! কেন? তুমি শাস্তি জানো না?
সে বুঝি বুঝতে পেরে, অস্ফুটে বলে ওঠে, “চিরকাল ভালোবাসা দিয়ে,
আমি যা পেয়েছি, তুমি দু’চোখে দেখতে পারো, দুঃখ তো তবু হাতে গোনা।
পৃথিবী শান্ত করা ভালোবাসা জুগিয়েছি, দু’বেলার রুটি, আস্কারা,
বাগানে ফুটিয়ে ফুল, পাখির জমাট ডেকে, বাঁধা ছিল প্রেমের তাবিজে।
শেষে সে চাইলো বসে আমাকে আমার থেকে কবিতার খাতাটুকু ছাড়া,
আমার কলম ভাঙা, মৃত্যুদণ্ড তাই। নিজেকে খুনের দায় নিজের।”
কাপড়ে মোড়ানো হাসি ক্রমশ নীলাভ হল, হাওয়ায় থাকলো ঝুলে দেহ,
প্রেমিক প্রমাণ দিল, কবিতা এখনো ছোট, পাঠক বুঝলো? সন্দেহ।
শুকনো পাতার গায়ে চুপিসারে পা রেখেছি, ভিড় থেকে বহুদূর হেঁটে,
সময় পাইনি বলে, গুছিয়ে না বলা কথা, ভরে রেখে দিয়েছি পকেটে।
খবর ছড়িয়ে দিয়ে, হারিয়ে গিয়েছে ভোরে সাঁঝের রোদের মতো, পিওন,
অনুচ্ছাসের হাসি চিঠিতে সাঁটিয়ে দিয়ে, সাবধানে গেছো তা জানিও।
গুমোট পলেস্তারা পুরনো হয়েছে তাই কথাহীনা দেওয়ালের গায়ে,
এবার পুজোর আগে নতুন রঙের সাথে লিখে দেবো ‘যেন ভোলা যায়’।
তোমার আমার হাসি বাইরে শুনেছে যারা, পুড়ে গেছে ভেতরে ভেতরে,
তাদের নামানো চোখ, এ যাবৎ চৌকাঠে, ফুল রেখে চলে যায় ভোরে।
সে সব রাগের পরে আলোচনা করা যেত, সমাধান হতে পারে কিনা!
অপটু হাতের পাশে, চায়ের জলের দাগ, জ্বালা করে, বুঝতে পারি না।
তোমার পুরনো গাছে, নিয়মিত জল দিয়ে, বসে থাকি জানালার কাছে,
পুরনো ছবির মতো, বিদায়ী দৃশ্য জুড়ে আয়নায় দুটো টিপ আছে।
যে কোনও রাতের পাশে ছেড়ে যাওয়া লিখে দিলে, সেই ঘুম আমরণ মৃত,
তোমার ভেতর থেকে যে আভা ছিটকে আসে, তারও আজ ক্ষমতা সীমিত।
আদতে বিরহ থেকে যন্ত্রণা তুলে নিলে অভিযোগ জমেনি কোথাও,
আমার কিনারা জলে ডুবে যদি যেতে থাকে, ফিরে তুমি দেখবে না তাও।
আমার কিনারা জলে ডুবে যদি যায়, যাবে, যতদূর যেতে পারো, যাও।