গু চ্ছ ক বি তা
একটা শূন্য নিয়ে বসে আছি।
চারপাশে অশ্রু, অভিশাপ।
ছেলেবেলায় অঙ্কে শূন্য পেয়ে পথিক হয়েছি।
তারপর সিঁড়ি ভাঙার ভাঙচুর দেখেছি কতো!
প্রেম এসেছে প্রবল শব্দে…
মেট্রো সিনেমার ব্ল্যাকার বন্ধুটির কাছে শিখেছি পাশে থাকার অহংকার। ভুলগুলো ঠিক মনে হয়েছে। আফশোস, অভিশাপে হেসেছে। প্রেম শাড়ি পরে চলে গেছে।
অভাবের গল্পে অভিযোগ নেই।
রেল ইয়ার্ডের দুষ্কৃতীর চোখের মতো এক অচেনা রাস্তার মোড়ে হঠাৎ ভেবেছি এবার কবিতা লিখবো
সুবিনয় প্রতিশোধ নিয়েছে… এভাবেই প্রতিশোধ নিয়েছে…
মাথার ভিতর ঢুকে ঘুরপাক খাচ্ছো, চোখের ভিতর ঢুকে ঘুমিয়ে পড়ছো! তারপর আমাকে বলছো নগ্নতার পরীক্ষা দিতে। এও কি সম্ভব?
বিকেলের হাসপাতালের মতো তোমার হাসি আর অ্যান্টিসেপ্টিকের গন্ধ… এর বেশি একটা অক্ষর আমি লিখতে পারছি না।
অস্থিকলস ভরা কবিতার বই। নটরাজ কবি।
তুমি ওর সোহাগ শর্বরী।
আর আমি সেই শবের জীবন্ত যযাতি।
বাইরে বেরিয়ে আসার জন্য রমণ!
রাত বড়ো অভ্যাস তাড়িত।
ভ্রমণকালীন বৃহন্নলা একটি আধুলি দিয়েছে।
তারপর বহু আধুলির ভিড়ে সেও অভিলাষহীন।
নাদ নান্দনিক অযথা অস্থির
কল্পনা করতে গিয়ে
তোমাকে অকল্পনীয় ভাবছি।
আলুক্ষেতে পাউনি দিচ্ছে প্রতীক্ষা!
বীজের দাম বেড়েছে।
বেড়েছে দূরত্ব তোমার।
ভাবি মর্ষকাম! ভয় হয়!
মন্থর অভিমান যদিও
তোমাকেই মানায় এখনো।
তাই দূর থেকে দেখি
রঙ্গিলা দালানের মাটি
মাঝে মাঝে তোমার গাছের ভিতরে হাত রাখি…
হলুদ পাতার বিকেলে আমাদের সবুজেরা জাগে।
আলোক দশার পর অন্ধকার দশায়
যদিও আমরা প্রত্যেকেই পরস্পরের…
বেদনার ব্যালেন্সিং রকের সামনে দাঁড়িয়ে আমি কোনদিন দুঃখকে খুঁজে পাইনি। কেবল বিস্মিত তাকিয়ে থেকেছি। মেঘ জমেছে বৃষ্টির পূর্বাভাস নিয়ে। ভেবেছি অপরূপা প্রেমিকার অনিচ্ছুক বিচ্ছেদ আসলে এই ব্যালেন্সিং রক! তার ক্ষুধা অধ্যবসায়ের নির্বাণ। তার তৃষ্ণা ঝর্নার কলতান। আর আমি দৃষ্টিহীন যুবকের চিঠি লিখতে না পারার মতন অসহায়। তাকিয়ে থাকি। কিছু দেখতে পাই না। মেঘ ভেঙে বৃষ্টি পড়ে গায়ে।