ক বি তা
তাকে তো ডাকেনি কেউ, পড়েওনি এতোদিন
ধরে
সে কি লেখে ছাইভস্ম একা এই নদীর কিনারে
ভাঙা বাড়িটায় বসে…
তবু সে লিখেছে বৃষ্টি, অন্ধকার
এই শীতে সুবর্ণরেখার
হাঁটু অব্দি শাড়ি তুলে বঙ্গভূমি থেকে চলে যাওয়া
আর মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়িয়ে
তাকে দেখা…
ও অন্তরীক্ষের আলো!
যে তোমাকে হৃদয়ে জ্বালালো
কবিতার ওম চায় সেও…
এখানে না হোক, কোনো দুর্লক্ষ্য লক্ষেও
আয়োজিত হয় মুসায়েরা, তার
একটি একক, নিমগ্ন কবিতা পাঠ
এসব বাড়ির রঙ সাদা হয়, ফ্যাটফেটে সাদা
লম্বা লম্বা ইউক্যালিপটাস সতর্ক পাহারা দেয়।
বাবাকে এখানে রেখে চলে যাবো, অ্যাসাইলামের
এগারো নম্বর ঘরে। যে এঘরে আগে ছিল
দেয়ালে দেয়ালে সে অনেক কথা লিখে গেছে, অনেক গানের পংক্তি, রবীন্দ্রনাথের…
তারও আগে যে থাকতো সে এঁকেছে
নোংরা নোংরা ছবি
এসব মোছেনি কেউ, কলি ফেরায়নি
আবছা হয়েছে শুধু
বাবাকে লুকিয়ে আমি ঘষে ঘষে মুছি
রতিকর্মের ছবি, শিশ্ন, যোনি, ভয়ংকর স্তন।
উন্মাদ বাবাকে এগারো নম্বর ঘরে রেখে যেতে কষ্ট হয়
ইস্, যদি একটা সাদা দেয়ালের ঘরে
রেখে যেতে পারতাম বাবাকে!