ক বি তা
দু’চোখের তোড়া থেকে খসে পড়েছে
সমস্ত গোলাপ
সারি সারি কলমি লতা
কচি ডাবের পাতার মতো নকশা তুলে
হয়ে উঠেছে আকাশমুখী…
ছিটছিট চড়াই আর গাঙচিলের পরিচিত স্তুপ
সাফা করে দিয়ে বিজয়ী হয়েছে
দূরভাষের সর্বোচ্চ শৃঙ্গটি
ভীষণ কাছে এসেছি আমরা, তবে কোথাও কোনো সেতু নেই
আর দেওয়ালগুলো হয়ে উঠেছে
বীর সৈনিকের মতো…
দরজা বন্ধ করে রেখেছে সমস্ত রাস্তা
বিদায়ের কণ্ঠ ছাড়ছে পাখির গানগুলো
আর সভ্যতা এসে মিশেছে শেষ প্রার্থনা সঙ্গীতে…
আমি এক ভিনদেশী নাবিক
চোখ রাখি ওই ছড়ানো ছেটানো আকাশে
আর হৃদয়ের পরিত্যক্ত ভূমি থেকে সংগ্রহ করি
শূন্যতার মতো একটি প্রবাল দ্বীপ…
গন্ধক আর বাজের পর্দা জড়ানো একসাথে
গোড়ালির ভেতরে তুফানঘূর্ণি
কুয়াশার খেতে চাঁড়ালের ভিত্তি প্রস্তর
আর শৃগালের চোখে জ্বলে ওঠে
একটি প্রতিকুল স্বদেশভূমি….