ক বি তা
১
এক দুঃখ ছাড়া আর কীই বা পেলাম
নিজের মত করে?
তোমাকে ছুঁতে গেলে এখন
পেরোতে হয় কানাগলির ক্ষত
অথচ অপারগতার পাঁচিলে পা ঝুলিয়ে বসে থাকে চক্ষুষ্মান অপেক্ষা
যেন শীত বিকেলের আলো
ঝুপ করে মিলিয়ে যাবে!
ইস্কুলবেলায় ঘন্টা বাজলে
আমার কেমন যেন আলুথালু আনন্দ হতো!
এখন যেমন হয় তোমার রিং-টোনে
অথচ তুমি আমায় মুক্তি দাওনি ইস্কুল দিয়েছিল!
তুমি আমায় বড় করে দিলে
টেনে বাড়িয়ে দিয়েছ গন্ডী
ইদানীং হোঁচট খেতে খেতে শিখে গেছি কেমন করে সোজা দাঁড়িয়ে থাকতে হয় রোদ-বৃষ্টিতে
তোমার পাশে দাঁড়িয়ে যদি
একবার মেপে নিতে চাই আজ কতটুকু ছাপিয়ে গেছ আমায়! দেবে?
তোমার কাঁধের দিকে উন্মুখ চেয়ে থাকি, কত উঁচু!
ভাগ্যিস!
আমি কোথায় দ্বিধা রাখতাম বলো?
আর মাথা?
সন্তান বড়ো হলে সে আশ্রয় হয়ে যায়
আজকাল আমি অকাতরে তোমার ছায়ায় জিরিয়ে নিই।
আবার দুঃখ পাব বলে।
২
তোমার শহরে গোধুলি আলোতে হাঁটতে হাঁটতে দেখি
কাটা দাগের মত বিক্ষত সন্ধ্যা নামছে কালচে হয়ে
সিগন্যালের সন্ধ্যাতারা তবু সংকেতবহ
বসন্ত আছাড়িপিছাড়ি অশোকে-পলাশে
মৃত্যু কাঁধে নিয়ে রাস্তা পেরোয় জীবন
এক জীবনে বাঁচতে আমার কম পরে যায় তাই
জন্মান্তরের গিঁট বেঁধে রাখি আঁচলময়
মাথা নীচু করে নিরীক্ষণ করি পথের বালি-কাঁকড়
পোকা-মাকড়
উত্তর কিম্বা দক্ষিন
পূব অথবা পশ্চিম
কম্পাসে একমাত্র তুমি— গন্তব্য আমার
এক সমুদ্র নোনা ঢেউ আজীবন ছুঁতে চায় বালিয়ারি
চাঁদ শুধু পাঁজি দেখে হিসেব রাখে
কবে পড়ছে পূর্ণিমা
জোয়ারের টান!
ঠিক যেমনটা তুমি কর।