ক বি তা
সম্প্রসারিত বিকেল খুলে দিল গিঁট
হাওয়ার মশারি থেকে উড়ে যায় ঘুম
বদ্ধ ঢাকনা খুললেই গন্ধের চিৎকার
ক্লেদাক্ত ভূমিকা থেকে মানুষের দল
সরে আসে, বাহ্যজ্ঞান তিরোহিত হয়
আরও এক পঙ্কিল আবর্তে সেঁদিয়ে
ধুন্ধুমার বেধে যায়, এইবার তর্পণ
সাদা কাক উড়ে যায় শস্যহীন দিন
বালির উৎসবে মাতে স্মৃতি পরম্পরা
আমাদের গিলে খায় পোড়াদগ্ধ কাঠ
তবু সম্প্রসারিত যে বিকেল তির্যক
চাহনি নিয়ে হাঁটছে, তার গায়ে দেখি
সম্ভ্রমহীন পোশাক আর চক্রাবক্রা
উল্লসিত প্রাচুর্যের পরত প্রলেপ
টেরাকোটা সেজে ওঠে বিমূর্ত প্রভেদ
তবু, বানানো গল্পেই রয়েছে বিভেদ।
একটি স্বচ্ছ ধারণা থেকে বেরিয়ে
আরও একটি অ-স্বচ্ছ ধারণা গিলে নিলে
জটিলতা বেড়ে যায় দ্রুত; সাবধানে
পা ফেললেও অভিকর্ষ বলের থেকে
ঠিকরে ওঠে যাবতীয় প্রচেষ্টা; নিমিত্তের
ফাঁক গলে যে সন্ধ্যাতারা উঠে এল ধীরে
তার পালকের হাওয়া পৃথিবীকে অতিক্রম
করে অন্য গ্রহের দিকে ধাবিত হলে
নাম সংকীর্তন শুরু করে নক্ষত্রেরা; অনন্ত
আলো কিংবা অন্ধকারের কোল ঘেঁষে
সাংসারিক প্রণিপাত পড়ে থাকে, পড়ে আছে
পরিত্যক্ত হাড়ের টুকরো বিষাদ-মালা ও
অবৈতনিক কোনো পরিশ্রমের দীর্ঘশ্বাস।
এই যে গ্রন্থিত পরম্পরার সুবিশাল আয়োজন
প্রক্ষিপ্ত ইচ্ছার কাছে হেরে যাওয়া প্রতিদিন
নির্লিপ্ত সুখের ঘরে তালাচাবি এঁটে দিয়ে
দীর্ঘ ভ্রমণে বেরিয়ে পড়ে সময়ের মেগাস্থিনিস
স্যাণ্ড্রাকোটাস রাজদরবার আর পাটলিপুত্র
চেয়ে আছে স্থির দৃষ্টি ইতিহাসের ভগ্ন অবলোকনে।