গু চ্ছ ক বি তা
অনেকদিন হলো কোনো গল্প শোনাতে গিয়ে কেঁদে ওঠোনি তুমি
আর আমারও মুক্তি ঘটেনি
দেখেছি আমার চারপাশের অন্ধকার ফুঁড়ে উঠে এসেছে এক প্রেমের কাহিনী
যেখানে শূন্যতা প্রেমিক, প্রেমিকা তুমি…
অনেকবার ব্রেক-আপ হয়েছে তোমাদের, তারপর আবার মাটির টানে,
চোখ উপড়ে নেওয়া চেনা কোনো তূণের টানে ফিরে এসছো তুমি
তোমার এই বারবার ফিরে আসাটা মেনে নিতে পারেনি
নদী, জঙ্গল, মনখারাপ করে দাঁড়িয়ে থাকা পিরামিডও…
এমনকি মনকেমনের মেঘ দু’হাতে হাওয়ায় ওড়াতে ওড়াতে
সাহারা ক্রস করে গ্যাছেন ডিরেক্টর
সূর্য অস্ত গ্যাছে,আবার একরাশ অন্ধকার গ্রাস করেছে আমায়
আমি আর সহ্য করতে পারিনি… শহর ঘুমোলে চুপিচুপি উঠে গ্যাছি
সারাগায়ে অন্ধকার নিয়ে
তুমি আলো হয়ে আসবে বলে…
কতদিন কোনো ভাঙ্গা ইমারতের গল্প শোনাতে গিয়ে
কেঁদে ওঠোনি তুমি
আর…
আকাশ মেঘলা, মনখারাপ করে শুয়ে আছে নদী
একটা সারস উড়ে এসে বসে ঠোঁটে এক অদ্ভুত আলো নিয়ে
অন্ধকার তা দ্যাখে, দ্যাখে সন্ধেমণি ফুল, মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেবও…
কিন্তু কেউ সেই আলো ছুঁতে পারে না
শুধু ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে দ্যাখে তুমি কি নিপুণতায়
ওই আলো নিয়ে মেখে নাও তোমার সারা শরীরে
আর তারপর…
তারপর ঠোঁটে করে সমস্ত মনকেমন,মেঘরঙা ইচ্ছে
আর সম্রাটের জন্মান্তর নিয়ে উড়ে যাও কোনো এক
ভলক্যানোর দেশে…
আমার সমস্ত ফেরা মিথ্যে হয়ে যায়
দূর থেকে দাঁড়িয়ে দেখি আকাশ মেঘলা,
মনখারাপ করে শুয়ে আছে চোখ হারানো একটা সারস…
তোমার অপেক্ষায় আলো ছুঁয়ে থাকি…
রাত নামে…
আলনায় বাবার লুকানো ঝাঁপি থেকে লাফ দিয়ে বেরোয় একটা সাদা বেড়াল
মিউ মিউ করতে করতে জীবন শোঁকে আনাচ-কানাচ
রাতের ভাত চাপিয়ে ঝিমটি কাটেন মা
আমার কেমন যেন শীত শীত করে…
তাই দেখে বিড়ালটার খুব অভিমান হয়
ও লেজ উঁচু করে ভাতের হাঁড়ির সামনে
মা আধপোড়া কাঠ নিয়ে ছুটে যান…
ভাত তখনও ফোটে…
সাদা ধোঁয়া থেকে বার হয়ে আসে ক্ষুধার্ত বাঘিনী
আমার ঘেঁটি ধরে নিয়ে যায় আলোর সাম্রাজ্যে
আমার চোখে-মুখে ধাঁধা লেগে যায়
আমি রা কাটতে পারি না… মুখ থুবড়ে পড়ি
তাই দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ো তুমি
ভাবো, এই বুঝি নির্বাণ পেয়ে গেলে…
ভোর রাত হয়ে আসে
মুখে রক্ত নিয়ে আমি এখন খিদেপেটে শুধু মা’কে ছুঁয়ে থাকি…
তুমি ফেরত চেয়েছিলে চেনা পথ, মশগুল সন্ধে, সব না বলা কথাদের…
ফেরত চেয়েছিলে সেই নদীটিকেও যার কিনারে বসে
তুমি এক এক করে নাম দিয়েছিলে ঘরফেরত পাখিদের, বন্ধুদের, সন্ধের গানকেও…
সেই নদীটি, যে নদীটির আড়ালে আমাদের ছোঁয়াচে ডাকনামগুলো
আজও অনর্গল মুখ লুকিয়ে সারারাত কাঁদছে ঈশ্বর হবে বলে…
সেই নদীটি যে কখনো তোমায় বলেনি নিজের হারিয়ে ফেলা নাম, অচেনা শহরের সমস্ত রাস্তা কিংবা
চেনা শহরের সমস্ত খোলা জানলাদের কথাও …
তুমি সত্যি সত্যি সেদিন ফেরত চেয়েছিলে এই অসম্ভব বেলাশেষের আলো, তোমার ঈশ্বর আর
লেখা এ কবিতা…
আর আমি?… আমি আজও এই মরে যেতে চাওয়া
নদীর কিনারে দাঁড়িয়ে তোমায় কিছুই ফিরিয়ে দিতে পারিনি…
কিচ্ছুটি না…
এমনকি আমাকে দেওয়া তোমার সেই
ভালোবাসার ডাকনামটিও…
সকাল মৃত্যু লেখেনি, লিখেছে বিকেল
সেই বিকেল গাছেদের শরীর থেকে খুলে
নেওয়া পোশাক… ঝুঁকে পড়া সাঁকো
ঘোলা জল ছুঁয়ে রেখে যাওয়া এলোমেলো আলো
আদিদেবতার আদিম রহস্য…
প্রতিটি সন্ধেই আহত ঘোড়া; অল্প আলোতে গলিতে
গলিতে গান ফেলে রাখে কারা?
মুখ লুকিয়ে কাঁদে সন্ধেমণি ফুল, মাটির খিদে…
একা হয়ে আসছে নিয়ন আলো
একা হয়ে যাচ্ছে উজান-ভাঁটির দেশ
দাঁড়িয়ে থাকা আস্তাবল, ধানখেত, পথের পোস্টার শিশুটিও…
তুমি মৃত্যু নিও না, আলোটুকু নাও
কারন তোমাকে বোঝার মতো
সন্ধে এখনও নামেনি…