ক বি তা
একটা বিশাল আকারের চুমুকে জমিয়ে রেখেছি বহু বছর
গার্লফ্রেন্ডকে দেওয়া হয়নি, সে তখন অন্য চুম্বনে মিশে গিয়েছিল
আমার স্ত্রীর আলার্জি, চুম্বন-ফোবিয়া, হোমিওপ্যাথি চলছে
জমানো আছে ঠোঁটের দেরাজে আজও
বয়স হচ্ছে। কী করি তাকে নিয়ে। ভাবনা হয়।
যে মেয়েটি বাড়ির কাজ করে, ফুল গাছে জল দ্যায়,
তাকে দেবো? ভেবেছিলাম দু’ একবার, তারপর দেওয়া আর হলো না।
চুমু তো চাইমিন নয়। বেচা যায় না। লোনও হয় না
ডলার, পাউন্ড, দিনেমার, কিংবা ইউরো তো দূর অস্ত, রুপিয়া ভি নেহি মিলেগা
স্ত্রীর বান্ধবী, বাঁকা চোখে তাকায়, চোখে নেশা আছে
কোয়া-ঠোঁট, আদুরে টোল।
ওকে কি মানাবে এই চুমু? নিজেকে জিজ্ঞেস করি।
একটা সেনসেশন হয় বটে! তবে শিহরন তো আসছে না!
কখনো মনে হয়, মেট্রোর লেডিস সিটে বসা আধুনিকার গালে রেখে আসি এই চুম্বন
কখনো ভাবি, ওই যে ডাগরডোগর মেয়েটা, কলতলায় জল ভরছে, ওকে?
হাঁপিয়ে উঠছি
এদিকে ছটপট করে মরছে প্রিয় চুমু
চুমুর কি নিত্যতা সূত্র বলে কিছু হয়?
ফিজিক্সের প্রফেসর, বন্ধু আমার, বললো, হয় তো
শোনা মাত্রই চুমুকে ঠোঁট থেকে টেনে নামিয়ে, কুচি কুচি করে ছিঁড়ে ছড়িয়ে দিলাম
ছড়িয়ে দিলাম আমার প্রিয় শহরের প্রতিটি কোণে কোণে
আর গড়ে উঠুক চুমুর পীঠস্থান
একটা অলৌকিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে হাত নাড়ছি প্রিয় বান্ধবীদের
বান্ধবী মানে— সৃজা, সম্পূর্ণা, সমর্পিতা আরও কয়েকজন
ওদের অঢেল সময়
সর্বক্ষণ এই মঞ্চের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে।
পিএনপিসি করে
আমার সময় কম
পারফরম্যান্স শেষ হয়ে গেলে তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে হবে ডায়াস
মজুরি বুঝে নিতে হবে
তারপর খুলে ফেলতে রাজার পোশাক…