ক বি তা
সূঁচ দিয়ে সুতো টানতে গেলে প্লাবন আসে, কান্না ভেঙে উপড়ে নিই স্নান। আয়নার সামনে খানিক দাঁড়ালে বুঝি অভিশাপ কুড়োতে কুড়োতে তুমি ক্রমাগত অভিযোগহীন প্রত্যয়ে চেয়ে থেকেছো ঘরের দিকে। আর লাশটুকু? এখনও কিছু বিশুদ্ধ নীল তরঙ্গের কোলাজ সাজিয়ে দুর্গের সামনে এসে দাঁড়ায়, তবু বলবার মতো কিছু তৈরি হয় না।
সন্তর্পণে একটা দুটো করে কাঁটা বেছে রোদে শুকোতে দিই। আরও কনসেনট্রেটেড হয় ধৃতি, গোপন কাঠ।
কারা যেন এসে কলিংবেল বাজিয়ে যায়, চুপি চুপি দরজা খুলে দেখি কুয়াশা ভরতি হাহাকার। বাজার থেকে ছোবল কিনে এনেছি। জলে খাবলে খাবলে ধুই, ঝুড়ির তলায় জমা হয় ক্ষমা। ভেসে যায় আলো।
অতঃপর মাংস এবং রোমকূপের ভেতর জাগাও দ্বন্দ্ব, লবনহীন। অথচ এই দৃষ্টিকেই বারে বারে নির্বাণ ভাবতে চেয়েছি। পাশাপাশি হেঁটে অতিক্রম করেছি অনিবার্যতা। এভাবেও কি গিঁট খোলা সম্ভব? প্রতিবার কেন জলের কিনারে নোঙর বাঁধো?
শেষ হয়েও যা শেষ হয় না, তাকে তুমি কী বলো? আশ্রয়!!
সন্ধের কিনারে চোখ রেখে চলে গেছে রজঃস্বলা নদী। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট মেঘের ভেতর তার পা-খানি ডোবানো।
যেন এক প্রতারিত মল্লার!
কী গোপন করবে তুমি? অবৈধ উত্তেজনা?
লাস্ট রিপ্লাই থেকে আনসীন দুপুর অবধি যে পথ ডুবে গেছে এস্কিমোর দেশে, তাকে এক আলোকবর্ষব্যাপী দূরত্ব থেকে ছ্যাঁকা দাও ক্ষুধার্ত নাবিক।
মা, তুমি কি এখনো অশ্রুকূপে সন্ধ্যাপ্রদীপ জ্বালো? লাইভে আসতে আসতে এসক্যালেটর আটকে যায়। তারপর চড়া দামে ঘুরতে থাকে বিপন্ন আয়ু।
এও কি কন্সপিরেসি? ভ্রম, ভ্রম, শস্যক্ষেত!