ক বি তা
বই পড়ে জেনেছি পাতা গাছের রান্নাঘর
যদিও আমাদের রান্নাঘরে মৃত পাতারা জন্ম দেয় নতুন আগুন
আগুনের সাথে খিদের সম্পর্ক ঠিক যেন মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ
তাই বারবার গুলিয়ে ফেলি খিদের আগুন আর আগুনের খিদে
আমাদের রান্নাঘরের চালে পাতেদের প্রাচীন শব
এভাবেই বাড়িয়ে তোলে এই ঘরের ভৌগোলিক পরিসর,
বই পড়ে যাকে চিহ্নিত করতে পারিনি আমরা কেউ
কেবল অন্তিম দুপুরের বিষণ্ণ সিঁড়ি বেয়ে নেমে এসেছে
সবুজ সব পাতা
যাদের অকাল মৃত্যু
আমাদের খিদের নির্ভুল রূপক হয়ে সাজিয়ে দিয়েছে পঞ্চব্যঞ্জন
প্রতিদিনের ঝরে যাওয়া পাতায়
একটা রান্নাঘর ঠিক যেভাবে আগুন দিয়েই সামলে রেখেছে আগুন…
আমি দৈনন্দিন নাবিক
রাত গভীর করে ঘরে ফিরে এসে
প্রত্যহ আবিষ্কার করি পৃথিবী সত্যিই গোল,
এই গোলের অনুপাতে একটা মস্ত বড় শূন্য
আমার ঘরে এসে বাড়িয়ে চলেছে পরিধি–
এতে নিজেকে ম্যাগেলান ভাবার কিছু নেই
তবু আবিষ্কার করছি
এই মস্ত বড় সুখী পৃথিবীর প্রতিটা কাল্পনিক কোণ আদতেই মিথ্যে।
একটা সময় শুরুর কাছে এসে যখন থমকে দাঁড়াবে শেষ
আমরা জানতে পারব,
আমাদের নির্ভরযোগ্য জাহাজে গোপন ছিদ্রের আত্মনির্ভরতা –
আমি দৈনন্দিন নাবিক
ঘরে ফিরে আসা ছাড়া আমার আর কোনো উপায় নেই বলেই
আমি জেনে গেছি
এই পৃথিবী গোল হলেও
প্রতিটা মানুষ একটা গোপন কোণের কাছে এসে থেমে যায় শেষমেশ–
যেখানে
বিছানার সাথে সমকোণে দাঁড়িয়ে থাকে দেওয়াল…