ক বি তা
পাহাড় কিংবা তারা যতই তাদের কাছে যাও
দূরে সরতে থাকে
আর তোমাকে একা করে দেয়
পিছনে তাকালে দেখা যায় সব কিছু অবিন্যস্তভাবে
দাঁড়িয়ে আছে
চোখ নামিয়ে শুধু পায়ের দিকে তাকাবে
সে মৃদুস্বরে জবাব দেবে
সমতলে চলো যাই
যেখান থেকে তোমার উঁচু-নীচু হওয়ার কোন ধারাপাত লাগবে না
সান্ধ্যকালীন আড্ডায় পাখিরা ডানা মেলে উড়ে বেড়াবে।
শোকে নির্মিত রাস্তা হেঁটে হেঁটে পাথরের শরীরে ধাক্কা লাগলে
বোঝা যায় গাছ থেকে পাতা কেন খসে পড়ে
ধুলোরা কীভাবে রোদের ভেতর একলা হয়ে নাচে, গান করে, ডিগবাজি খায়
উপত্যকা বরাবর রাস্তা ধরে চলার সময়
গভীর খাদের দিকে তাকালে
মনে হয় এই বুঝি দৈত্যরা নীচ থেকে উপরে ওঠে গলা জড়িয়ে টেনে নিয়ে যাবে।
ভ্রান্তির বিপরীতে চোখ তুলে ধু ধু রাস্তার অনন্ত যাত্রা।
নিঃশব্দ বিপ্লবের মতো
ক্ষয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও
পাহাড় চূড়া আলিঙ্গন করার স্পর্ধা রাখে।
পাথরের বুক শীত-তাপ সমান প্রবৃত্তির আধার।