গু চ্ছ ক বি তা
দু-পা, ভেবো না এতো, ঢুকে যাও
কুচিকুচি কাগজ ?
দেওয়ালে রয়েছে কি সূত্রের সংকেত ?
দ্যাখো, টগবগে কোলাহল
মাঠ হতে
উড়ন্ত ফড়িং-এর মতো ওড়ে
এসো বন্ধু
আরেকবার একসাথে
এক
হতে শিখি
কালো বোর্ডের নিচেই
ছড়ানো
গুঁড়ো গুঁড়ো অনুতাপ
হয়তো কিছুক্ষণ পর
এটুকুও উড়ে যাবে—
মনে হয় স্যর, তাই
বারবার
চক হাতে
আমাদের থামিয়ে
বলতেন— ‘না, না, আরো একটু থাক!’
রাস্তায় সাদা জামা আর নীল প্যান্ট দেখলে
কেমন যেন করে ওঠে বুক!
দাঁড়াই
মনে হয় কে যেন
শুধায়— বন্ধু, কেমন আছো?
দু-চোখে বিষাদশিশির ঝরে
বলি— প্রাণহীন দেবদারুর মতো
আমি শুধুই
আজ এক কাঠ
যতটুকু খেতে পারি, তার চেয়ে বেশিই
দিতে চাইতো মা
মনে পড়ে
দৌড়াতে দৌড়াতে
কলমিগাছের ডাল ভেঙে
কান মুলে
মা
চিৎকার করে বলত—
‘আজও টিফিন খাসনি?’
স্মৃতিই, হয়তো,
মেঘের শব্দের মতো
মাঝেমাঝে বেজে ওঠে
তারপর
যতবার টিফিন খুলি
ভেসে ওঠে মা