গু চ্ছ ক বি তা
কে বলে শীতকাল ট্রামে কাটা পড়া কবির রক্তের মত জমাট? সে সব রুমানি কথা, ছোড়িয়ে জনাব! এ’দেশে শীত আসে না আর। বহুদিন লা-পতা৷ কৌন জানে কঁহা, কোন ভিরান পাহাড়ি রাস্তায়, ধুলোমাখা একচিলতে ঝোপড়িতে গুসসা করে মুখ লুকিয়েছে, মাগি! শুধু এই বদনুমা হাইওয়ে, বুড়া অজ্গর, ফন্ ছুপিয়ে বসে থাকে। সর্দ কী মৌসম আসলে, টেঁটুয়া দাবাতে চায়, মাদর্ জাত!
লেকিন হাম ভি কামাল কা ড্রাইভার হাঁ, মরণফাঁদ এড়িয়ে ঘোরাই স্টিয়ারিং আর দেশী দারু’তে কুল্লা করে থুক্ দিই ওর মুখে, মাছির মত ভিনভিন্ করে কাঁদে, আমি তাকাইও না, ঘরে জেনানি আছে সাব! সে আমায় ভালোবাসে, আমি তার শরীর, বাচ্চা হবে, ডুগডুগি বাজাব, নাচব হারামি লৌন্ডার সাথে। শুধু বাসিরুটি সবজির মত কিছু রুখা-সুখা খোয়াব, এই সড়ক, বেশ্যাবাড়ি আর পুরনো ধাবার ভাট্টির গনগনে আঁচ, আমাদের বলে যায়, উহ্ ছোকরি আসেনি ফিরে। আরাবলী অঙ্গার ঘেঁটে লিখে রাখি গুমসুদা রিপোর্ট, তাপ পোহাই না।
এ’দেশে শীতকাল নেই জনাব! আছে ভুখ্, কর্জদার, আর ট্রাকের ফেঁসে যাওয়া টায়ারের মতো নসিব। এ সব জেনে কী হবে, বাবুমশাই, শায়েরি…
হে আমার ভূতগ্রস্ত দুপুর,
আমায় পুকুরপাড়ে নিয়ে চলো –
যেখানে কেউ আসে না এ-সময়
পাড়ার বিধবামহল জানে,
অতৃপ্ত কিছু মায়া কুহকিনী
অতন্দ্র পাহারা দিচ্ছে,
নিষিদ্ধ জাদুটোনায় গলে পড়া মুখ
কাছে গেলে জল থেকে উঠে আসে হাত,
শাঁখা-পলা, এয়োতি চিহ্ন…
পা টেনে ধরে, তলিয়ে নিয়ে যায় জলজ ব্যূহে
আর আমি খাবলে ধরি মাটি
গুল্মকাদাজলে বিঁধে যায় নখ
হে আমার ভূতগ্রস্ত দুপুর,
জল ঢালো,
ইহজন্মের মাটি ধুয়ে যাক…
দশ হাজার আলোকবর্ষ পেরিয়ে তোমার কাছে আসি, মহাবিদ্যা!
সানুগ্রহে রেখেছি পুরনো ক্ষতের মুখে ক্ষয়ে যাওয়া হননচিহ্ন, চক্রান্ত বিমিশ্রন, সান্ধ্য কোলাহলপ্রিয় বেশ্যাভূমি, বন্ধ্যা কুকুরীদের মাৎস্যন্যায় আর রতিক্রিয়া শেষে; যাবতীয় বাজারের থলি। শীতার্ত দুপুরে যৌনগন্ধী রোদের মত তুমি পালং, হরিদ্রা ও খলসে মাছের রক্তমাখা ভাতে নৈবেদ্য সাজাও; আর আমি জিভ চাটি। লেহন করি কাব্যভূমি, স্তাবকবৃন্দের গান, এই কাম জরা ক্ষুধার ব্রহ্মাণ্ড খুচরো বাবদ দিয়ে যাব তোমায়৷ তুমি তা দিয়ে খণ্ড খণ্ড মাংসপিণ্ড ছড়িয়ে বায়স সন্ধানী, তর্পণের পর যেভাবে স্রোতস্বিনী টেনে নেয় নাভিমূল, আমি হাত পেতে থাকি দক্ষিণা লোভাতুরা, জরায়ুদগমে।
দশ হাজার আলোকবর্ষ পেরিয়ে এসেছি দুয়ারে তোমার, বিদ্যেধরী, আমাকে দেহান্ন দেবে না?
তোমাকেই বই ভেবে পড়ি
অনাঘ্রাত পঙক্তিমালা যেন
পাতা ওলটাই, ঘ্রাণ নিই, আঙুলের দাগ
রেখে যাই সস্নেহে; বালিশের পাশে
চশমা খুলে স্পর্শ করি আখর
ঘুম হয়ে নেমে আসো ঘুমের ভিতর
পাঠোদ্ধার করো, অবোধ্য যা কিছু আবদার
শোনো, ব্রহ্মাণ্ড ছাই হওয়ার আগে
একটা বইঘর দিয়ে যাব তোমায়
আদরের অপ্রকাশিত বর্ণমালা যত
ধুলো ঝেড়ে তুলে রেখো তুমি…