ক বি তা
পাখির ভাষায় কথা বলি চলো
কুহুতে বলি খিদে, কুহুতে বলি প্রজনন
কলহ বিবাদ রাখি কূজনে
বাকিটা উড়িয়ে দিক হাওয়া–
তোমার সকল ধুলো আমাকে দাও
আমি দিই খড়কুটো তোমাকে
সবুজ গৃহ, পালকের দেহ, মসৃণ তেল,
মধুর ঠোঁটের কলহ;
আকাশের এক যুগ থেকে অন্য যুগে
ডানার দাপটে–
বহু নিচে দেখি
ক্ষুদ্র মানুষ জীবনটাকে পিঠে নিয়ে
ক্রমশ ঝুঁকে পড়ে গাইছে
‘হেই সামালো ধান হো’
একটা করে জন্মদিন আসে
ঘরের বাতিগুলো যেন নিভু নিভু হয়ে যায়–
ছোটবেলার বেলুনগুলো যেন ক্লান্ত ফুঁ-এর বাতাস–
একটা কেক– সেও যেন ম্যাজিক রিয়্যালিজম–
পায়েস করার মহিলাটি মরেছে,
পায়েস খাওয়ার মেয়েটি, সাত সমুদ্র তেরো নদীর পার–
পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চির বৃদ্ধাটি,
একটা নতুন পাঞ্জাবী বার করে দেন–
দুটো ধূপ দীপ জ্বালেন ঘরেতে,
রান্নায় একটা পদ বেশি করেন।
মোচা চিংড়ি বা কচুর শাক, যেকোনো একটা থাকবেই–
তারপর কৃষ্ণনাম করতে বসেন–
ক্যালেন্ডারও দেখতে হয় না আজকাল–
প্রিয়জনের দিনলিপিতে, জন্মদিন বড় হয়ে উঠতে গিয়ে
বুড়ো হয়ে ওঠে।