ক বি তা
উত্তরায়ন বা দক্ষিণায়নে কোনো তর্ক নাই
জাগতিক সন্ধায় ডুবে রাঢ়ের সামুদ্রিক হাত
আলিঙ্গনে গুটিয়ে আছে উপোসী সোনাঝুরি অরণ্য…
অতি নির্জনে স্পর্শ পাওয়ার ক্ষুধাটুকু নেই?
দোলাডাঙার শীত লুকিয়ে রাখে নিয়তির ক্রোধ।
আমাদের বিতণ্ডা দেখে ফিরে যায় মৎস্যনৌকা…
বিষণ্নতায় রঙ পাল্টে ফেলে সহজিয়া টেন্ট
কেননা, হঠাৎ চলে এল কলরবযুক্ত ঢেউ
আমি খরতাপে সেই সূর্যাস্ত চুম্বন চেয়েছি
যেখানে ভস্মটুকু অভিমানে অতি নাক্ষত্রিক…
বিহান বেলায় জলে পা ডুবিয়ে গীত গাইলে না
প্রবাহিত দোহারা স্রোতকে অনুভব করলে না
কাঁসাই পাড় আজ আদি জনজাতিদের দখলে
বেলাশেষে যন্ত্রণার যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি
জলের সম্মোহন, গীতবলা, সাঁঝের চিৎকার…
পাখিদের গতিবিধি জেনে টুসুদেবীকে ছুঁলে না
দেহাতি দোকানে বসে একাকী চোখের বালি খুঁজি
তুমি কাছে নেই, নেই নেই, ফুঁ- দিতে কার নাম ডাকি?