‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র সমস্ত সুহৃদ, পাঠক ও লেখককে জানাই বাংলা নববর্ষের আন্তরিক শুভেচ্ছা। ১৪৩০ যেন সকলের ভালোবাসার বছর হয়ে ওঠে। নতুন বই, পত্রিকা নিয়ে জমে উঠুক বৈশাখের পয়লা, বৈশাখী বা রঙ্গালি বিহু’র মতো আমরাও মেতে উঠি সাবেকি বাঙালিয়ানায়। অনেকে মনে করেন, মুঘল সম্রাট আকবরের সময়ে খাজনা আদায় করার পরবর্তী যে উৎসব, তা-ই সময়ে সময়ে বদলে গিয়ে নববর্ষের রূপ নিয়েছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও শান্তিনিকেতনে খুব ধুমধাম করেই নববর্ষ পালন করতেন।
তবে, নতুন বাংলা বছরের প্রথম দিনে হালখাতার যে ধারা চলে আসছে, তা আজ অনেকটাই জৌলুস হারিয়েছে। পুরনো বছরের হিসেব চুকিয়ে নতুন বছরের খাতা শুরু করার প্রথা আজ প্রায় বিলুপ্ত। গরমে ঘামে ভেজা পাঞ্জাবি আর নতুন শাড়ির খসখসানি নিয়ে বিভিন্ন দোকানে ঘোরা আর গয়নার বরাত দেওয়া, কিংবা বাবার হাত ধরে বাচ্চা ছেলেটির দোকান থেকে ফেরার সময়ে মিষ্টির প্যাকেট হাতে জ্বলজ্বলে মুখে ফেরার দৃশ্যগুলো আজ হারিয়ে গেছে প্রায়। এখন দিনকাল বদলেছে। আলো ঝলমলে দোকানগুলোয় ফুচকা আর আইসক্রিমের স্টল ঘিরে উপচে পড়ে ভিড়। বইপাড়ায় এখনো কোথাও কোথাও নতুন বই বেরনো আর প্রকাশনীর দফতরে সন্ধেবেলা কবি-সাহিত্যিকদের জমায়েত হয়তো তবু দেখা যায়। তাও মনের মধ্যে আফসোস রয়ে যায়, এমন দিনটিতে ছোটো একটি ঘরে পাখার নিচে একে একে জড়ো হচ্ছেন তারাশঙ্কর-বিভূতিভূষণ-বনফুল’রা… এই দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য হয়ে উঠল না।
আগামীতে ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ যদি সকলের আরো ভালোবাসা পেয়ে দূরের পথে পাড়ি দেবার স্বপ্ন সফল করতে পারে, তবে অবশ্যই সেই পুরনো আমেজ ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিতে পারি আমরা। হ্যাঁ, হয়তো সেই অমর কথাসাহিত্যিদের সান্নিধ্য আর পাবো না, কিন্তু সমসাময়িক লেখক-কবি-পাঠকদের নিয়ে আমরা সেই দিনগুলো ফিরিয়ে আনতেই পারি। আর, সেই লক্ষ্য নিয়েই আগামীতে আমরা শুরু করছি ‘হ্যালো বুকস’-এর মাধ্যমে নিজস্ব প্রকাশনা। বিস্তারিত আমরা ক্রমশ জানাতে থাকব ফেসবুকের মাধ্যমে। অনলাইন সংখ্যাগুলি ও ১৪২৯ সালের মুদ্রিত শারদ সংখ্যাটি যেমনভাবে সকলের সমাদর পেয়েছে, আশা রাখি ‘হ্যালো বুকস’ প্রকাশিত বইগুলিও সেই ভালোবাসা পাবে।
নতুন বছরে সকলে সুস্থ থাকুন, আনন্দে থাকুন। আপনাদের কাছে পৌঁছে দিলাম ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র এপ্রিল, ২০২৩ সংখ্যা। নতুন বাংলা বছর শুরু হোক এই লেখাগুলি দিয়েই।