‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র এই বছরের শেষ সংখ্যা প্রকাশিত হলো। নতুন বছরে আরো কিছু আকর্ষণ নিয়ে আসা যায় কীভাবে, সেই চেষ্টা আমাদের নিরন্তর চলছে। কবিতা ও কবিতা সংক্রান্ত লেখালিখিকে ঘিরে আমাদের এই সামান্য আয়োজনে আপনাদের প্রত্যেকের ভালোবাসা আমরা আজও পেয়ে চলেছি ক্রমাগত।
কবিতা লিখে কী হয়? এর স্পষ্ট কোনো উত্তর আজ অবধি নেই। মনের আরাম, ভালো লাগার অনুভূতি… সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় লিখেছিলেন-
“আমি চাই স্কচ, সাদা ঘোড়া, নির্ভেজাল ঘৃতে পক্কমুর্গীর দু ঠ্যাং শুধু, আর মাংস নয়- কবিতা লিখেছি তাই আমার সহস্র ক্রীতদাসী চাই- অথবা একটি নারী অগোপন, যাকে আমি প্রকাশ্য রাস্তায় জানু ধরে দয়া চাইতে পারি।”…
অকপট স্বীকারোক্তি। অনেকেই মনে মনে হয়তো এরকমই ভাবেন, চেয়েও থাকেন। তাছাড়া খ্যাতির মোহ তো থাকেই। তবু… শীতের বিকেলে আলগা হাওয়া দিলে, দুপুরের নির্জন রোদে কিংবা পরস্পরের হাত ধরে কুয়াশা নেমে আসা মাঠের দিকে মিলিয়ে যেতে যেতে কবিতার লাইন আচমকা মাথায় চলে আসে। অনেকে নিজেরাই কবিতা হয়ে ওঠেন… এইসব মায়া, সম্পর্কের ভেঙে যাওয়া পংক্তিগুলো আস্তে আস্তে জমে ওঠে সাদা পাতায়। এই দায়, এই বয়ে চলায় সামিল আমরা প্রত্যেকে।
“শুধু কবিতার জন্য এই জন্ম, শুধু কবিতার জন্য কিছু খেলা, শুধু কবিতার জন্য একা হিম সন্ধেবেলা ভুবন পেরিয়ে আসা,”…