যদিও সোশ্যাল মিডিয়ায় আমরা আগেই জানিয়েছি, কিন্তু ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র পাতায় সরাসরি এই সুখবরটি আবারও ভাগ করে নিতে চাই। এই প্রথম আমাদের, আপনাদের এই প্রিয় আন্তর্জাল পত্রিকা মুদ্রিত সংখ্যা হিসেবে প্রকাশ হতে চলেছে। অজস্র বিভাগ ও মনোগ্রাহী কিছু রচনা নিয়ে আমরা পুজো সংখ্যাটিকেই পত্রিকার প্রথম মুদ্রিত সংখ্যা করতে চলেছি। আমাদের অনেকগুলি পরিকল্পনার মধ্যে এই পদক্ষেপের মাধ্যমে আমরা আরো এক ধাপ এগোবার চেষ্টা করলাম।
তবে মন খারাপ হয়ে যায় যখন দেখি দলাদলি, পিছন থেকে টেনে ধরা এসব কিছুই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে লেখালিখির আসল জায়গাটুকু বাদ দিয়ে। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অনেকেই এই কাজে শামিল হয়ে উঠছেন। দিনের শেষে, জীবনের শেষে সব চলে গিয়ে আমাদের প্রত্যেকের কাজগুলোই রয়ে যাবে। মানুষ মনে রাখবেন যাবতীয় উল্লেখযোগ্য লেখনী, মনে দাগ কেটে যাওয়া পত্রিকাসমূহকেই। আমরাও এই কাজের যজ্ঞে শামিল বরাবর। পাশে আপনাদেরও চাই, যেন পাইও সব সময়।
‘আমাদের অভ্যন্তরে স্রোতস্বিনী আছে, সেতু নেই’
– পূর্ণেন্দু পত্রী
সত্যিই আমাদের মধ্যে সেতুর বড্ড অভাব। যে যার মতো করে অন্যের সেতু ভাঙতেই আমরা আগ্রহী। সেতুবন্ধন করে আরো অনেক দূরের রাস্তা হাঁটতে আমরা কেউই চাই না। কিন্তু ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ সব সময় চেষ্টা করে চলবে প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়ে এই সেতু গড়ে তোলার। তারই ফল হলো আমাদের জুলাই মাসের এই সংখ্যা। এই বিশেষ কবিতা সংখ্যায় আমরা খুঁজে পেয়েছি এমন সব কবিদের, যাঁরা আমাদের কাছে হয়তো ততো পরিচিত নন, কিন্তু বলিষ্ঠ তাঁদের কলম। এই পত্রিকা বরাবর চেষ্টা করে যাবে এমন সব শক্তিশালী অথচ অন্তরালে থাকা কবিদের তুলে আনার। বাকি দায়িত্ব, পাঠক আপনাদের।