প্রকাশিত হলো মার্চ সংখ্যা। এই সংখ্যাতেও আমরা কিছু নতুনত্বের ছোঁয়া রাখতে চেষ্টা করেছি। অনুবাদ সাহিত্যের উপর বরাবরই গুরুত্ব দিয়েছি আমরা, তার প্রতিফলন এই সংখ্যাতেও অনেকটাই রয়েছে। পাঠকের আগামী এক মাসের চিন্তার উপকরণ জুগিয়ে যেতে আমরা বদ্ধপরিকর। তবে একটি অনুরোধ সকলের জন্য আবারও এখানে করে রাখতে চাই। ইমেলে প্রতিদিন অনেক লেখা আমাদের কাছে এসে পৌঁছোয়, লেখা পাঠানোর পরপরই বা পরের মাসেই লেখা ছাপা হচ্ছে কিনা অনেকে খোঁজ নেন। লেখা পাঠানোর পরের মাসেই লেখা প্রকাশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। আর, এই কথাটিও মনে রাখা প্রয়োজন যে, লেখার মান অনুযায়ী আমরা লেখা নির্বাচন করি, তাই অমনোনীত হতে পারে যে কারোর লেখাই। আমরা ইদানীং চেষ্টা করছি মেলের মাধ্যমেই মনোনয়ন বা অমনোনীত হবার সংবাদ জানিয়ে দিতে। কিন্তু সেই কাজে অন্তত ৫-৬ মাস লেগে যায়ই। তাই, প্রত্যেককে অনুরোধ করব লেখা পাঠানোর পরে সেই সময়টুকু অন্তত আমাদের দিন। মনোনীত হবার মেল পেলে তার কয়েক মাসের মধ্যেই লেখা নিশ্চিতভাবে প্রকাশিত হবেই।
গীতার চতুর্থ অধ্যায়ের দশম শ্লোকে বলা হয়েছে-
বীতরাগভয়ক্রোধা মন্ময়া মামুপাশ্রিতাঃ ।
বহবো জ্ঞানতপসা পূতা মদ্ভাবমাগতাঃ ।।
যার মূল কথা হলো, আসক্তি-ভয়-ক্রোধ থেকে মুক্ত হওয়া। আর সেভাবেই কোনো কাজে মগ্ন হওয়া। আমরা চাই, সাহিত্যের ক্ষেত্রে কোনো কিছুর প্রতি আসক্তি বা কোনো প্রভাবের কারণে ভয় বা ক্রোধ যেন না আসে। তবেই সৃষ্টি হতে পারে কোনো মহৎ কাজ। আমরা সেই ভালো কাজের পথে এগিয়ে চলতে চাই। আর, সেই উদ্যোগ এই সংখ্যাতে কেমন লাগল আমাদের জানাবেন।