এই সংখ্যা আমাদের গর্বের সংখ্যা, আনন্দের সংখ্যা। আমরা দু’বছর পেরিয়ে পা রাখলাম তৃতীয় বছরে। অতিমারীর কঠিন সময়ে নিজেদের মন ভালো রাখতে, পাঠকদের মনে শুশ্রুষা দিতে শুরু করেছিলাম ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’। আজ সে অনেকের ভালোবাসায় ভরে উঠেছে। বহু লেখক, পাঠকের সমাদর পেয়েছে। আমরা সাহস পেয়েছি নতুন কিছু ভাবার। নতুন বিভাগ শুরু করার। এবারের সংখ্যাটিও তার ব্যতিক্রম নয়। অগ্রজ-অনুজ-সতীর্থ কবি, গদ্যকার সকলেই আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন। মতামত দিয়ে সমৃদ্ধ করেছেন, প্রশ্রয় দিয়েছেন। আজ ফিরে তাকালে এই দু’বছরের শ্রম, চিন্তা সব কিছুই সার্থক মনে হয়। আমরা আরো এগোতে চাই। পাশে চাই প্রত্যেককে। আগামী দিনগুলোয় আরো চমকপ্রদ কিছু পরিকল্পনা রয়েছে, সেগুলি যথাসময়ে আমরা প্রকাশ করব। আর, সেই পরিকল্পনাগুলো শুধু আমাদের ভাবনা নয়, আপনাদের নানা মতামতকে মিলিয়েই আমরা সেই কাজে হাত দিয়েছি। আপনারা এভাবেই আরো এগিয়ে যাবার জোর দিন আমাদের।
আজ শুরুর দিনগুলোর কথা ভাবলে অনেক কিছু ভিড় করে আসে মনে। অজস্র খসড়া, নামকরণ নিয়ে ভাবনাচিন্তা। বিভাগ নির্বাচন একটা বড় পর্ব ছিল। তবে ২০২০ সালের পুজো সংখ্যা ছিল আমাদের কঠিন পরিশ্রমের ফসল। আমাদের গোটা টীম খুব তৃপ্তি পেয়েছিল যখন সেই কাজটির প্রশংসা সবাই একবাক্যে করেছিলেন। অতো গুণীজনকে এক সূচীতে আনা সহজ ছিল না হয়তো, কিন্তু কেউই ফেরাননি আমাদের। তবুও হয়তো সবাইকে আমরা কাছে টানতে পারিনি, বেশ কিছু ত্রুটি অবশ্যই রয়ে গেছে আমাদের নিজেদের। তাই অনেকে সাড়া দেননি, আজও আমাদের দূরে সরিয়ে রেখেছেন। আমরা শুধরে নেবো। কথা দিলাম।
অতিমারীর ভয়াল রূপের দিনগুলো থেকে শুরু হয়েছিল ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র পথ চলা। আজ সেই আশঙ্কার ছায়া অনেকটাই দূরে সরে গেছে। তাই হয়তো কখনো আন্তর্জালের বাইরেও সবাই মিলে একদিন কবিতা পড়ব, শুনব, হইহই করব খুব। আজ এই ওয়েব ম্যাগাজিনের তৃতীয় জন্মদিনে সেই ইচ্ছেটুকু সাজিয়ে রাখলাম সবার কাছে। সকলে ভালো থাকুন, আমাদের পাশে থাকুন। আপনারা আছেন বলেই ‘আমরা রইলাম’…