সারা পৃথিবীতে এখন মৃত্যুর কলরোল। প্রাণঘাতী ভাইরাস কেড়ে নিয়েছে আমাদের সব কিছু। গৃহবন্দী দশায় দিন কাটছে সবার। অনেকেই জীবিকাহীন হয়ে পড়েছেন, আবার হয়তো বা কপালজোরে যাঁদের চাকরি রয়ে গেছে, তাঁদের অনেকেই বেতন পাচ্ছেন না। আমাদের রোজকার জীবন এক ধাক্কায় বদলে গেছে আপাদমস্তক। ফের কবে বাড়ির বাইরে পা রাখা সম্ভব আগের মতো? উত্তর নেই কোনো। রোজ শুধু চোখের সামনে উঠে আসছে পরিসংখ্যান। আক্রান্ত-মৃত-সুস্থ, এর মধ্যে আটকে গেছি প্রত্যেকে। খবরের কাগজ, নিউজ চ্যানেল, ফেসবুক সর্বত্র আপডেট আসছে আতঙ্কের। আর কত দিন? জানি না কেউ।
তবু এসবের মধ্যে বেঁচে থাকতে গেলে নিজেদের মতো করে দিন কাটিয়ে যেতে হয়। এক মাস অতিক্রান্ত। আস্তে আস্তে নিজেদের অন্য নিয়মে অভ্যস্ত করে তুলছি আমরা। সারাদিনে সময় এখন অনেকখানি। নিজের সঙ্গে, পরিবারের সঙ্গে কাটাতে পারছি ইচ্ছামতো। তার মাঝেই মনকে শান্ত রাখতে খুঁজে নিচ্ছি পছন্দের বই, গান কিংবা অন্য কোনো মাধ্যম। মন ভালো রাখার আরেক উপায় আন্তর্জালের সাহায্য নেওয়া। আর সেই পথ ধরেই আমরা হাজির আপনাদের সামনে। শুরু করলাম নতুন একটি কবিতা কেন্দ্রিক ওয়েব পত্রিকা। আজ রবীন্দ্রজয়ন্তী। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারে আর যাওয়া যাবে না জোড়াসাঁকো কিংবা নন্দন চত্বরে। যে যার বাড়িতেই স্মরণ করতে হবে কবিগুরুকে। তাই আজকের দিনেই প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিলাম আমাদের এই নতুন ওয়েব পত্রিকা।
আমরা চেয়েছি সাহিত্যের প্রায় প্রতিটি শাখাকেই ছুঁয়ে যেতে। কবিতা কেন্দ্রিক হলেও থাকছে গল্প তবে তা কবিদের লেখা গল্প। প্রথম প্রকাশেই হয়তো পারিনি সবটা। কিছু খামতি থেকে যাবেই জানি। তবু ধীরে ধীরে নিয়মিত প্রকাশের মাধ্যমে আমরা এই পত্রিকাকে একটি পূর্ণাঙ্গ রূপ দেবার চেষ্টা করব। আপনাদের কাছে অনুরোধ, আপনারা পড়ুন। মতামত জানান। অবশ্যই নিজের পছন্দের লেখাটি পাঠান আমাদের। আমরা সমৃদ্ধ হব।
পত্রিকাটির নাম পরিকল্পনা তরুণ কবি, চিত্র পরিচালক পলাশ দের। তাঁকে আমাদের আন্তরিক ভালোবাসা। আরও যাঁরা আমাদের পাশে থেকেছেন তাঁদেরকেও আন্তরিক ভালোবাসা, শ্রদ্ধা।
সকলে ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন আর যে যার বাড়িতে থেকে আমাদের এই প্রচেষ্টাটিকে ভালোবাসুন।