পুজো সংখ্যার পর আবার ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ ফিরে এলো সাধারণ সংখ্যার সম্ভার নিয়ে। আর, এরই মাঝে ভেসে এলো আরেক সুখবর। বইমেলা। অতিমারী এই বছর বন্ধ করিয়ে দিয়েছিল বইয়ের মিলনোৎসব। আবার তা ফিরে আসছে আগামী বছরের শুরুতেই। নতুন বই প্রকাশ, লিটল ম্যাগাজিনের সম্ভার, বহুদিন পর দু’দণ্ড সাক্ষাৎ-আড্ডা… আবার এই সব কিছুর সম্মেলন ফিরে আসতে চলেছে কবিতা-গল্প-ম্যাগাজিন নিয়ে মেতে থাকা আমাদের প্রত্যেকের জীবনে।
আরো একটি বিষয় আবারও সবার কাছে বিনীতভাবে তুলে ধরতে চাই। অনেকেই লেখা পাঠাচ্ছেন ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ ওয়েব ম্যাগাজিনে, প্রচুর লেখা মেইল-এ এসে পৌঁছোয় প্রতিদিনই। তাই লেখা পাঠানোর পরের মাসেই কিংবা দু’এক মাস পরেই তা প্রকাশ করা সম্ভব হয় না। অনুরোধ করব, অন্তত ছয় মাস অপেক্ষা করুন। আপনাদের সহযোগিতাই আমাদের এতোটা পথ অতিক্রম করতে সাহায্য করেছে, সেই ভালোবাসার কারণেই আমাদের এটুকু অনুরোধ।
১৯০০ সালে স্বামী বিবেকানন্দ সান ফ্রান্সিসকো শহরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে ‘গীতা’য় শ্রীকৃষ্ণের উপদেশের ব্যাখ্যায় বলেছিলেন যে, কাজ বন্ধ করে রাখা এ জীবনে মুহূর্তমাত্র সম্ভব নয়। প্রকৃতির গুণগুলিই মানুষকে কাজ করে যেতে বাধ্য করে। নিজের প্রকৃতিগত পথে চলা উচিত। এভাবেই ক্রমোন্নতি সম্ভব।
আমরা আপ্রাণ চেষ্টা করে চলি এই কথাগুলি সব সময় স্মরণে রাখতে। তাই হয়তো আপনারা সবাই-ই আমাদের সঙ্গে এতদিন ধরে রয়েছেন। আগামীতেও এভাবেই আপনাদের নিয়ে আরো পথ পেরোতে চাই। সেই আশা নিয়েই আপনাদের কাছে আমরা পৌঁছে দিলাম নভেম্বর সংখ্যা। আপনাদের মতামতের প্রত্যাশী রইলাম।