“ যা দেবী সর্বভূতেষু চেতনেত্যভিধীয়তে।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ।। ”
আজ মহালয়া, এরপর থেকে দেবীপক্ষের শুরু। এই শুভ দিনেই প্রকাশ পেলো ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’র শারদ আন্তর্জাল পত্রিকা। গত বছর পুজো সংখ্যা প্রকাশের পরে আমরা যে আশাতীত সাড়া পেয়েছিলাম, এই বছরেও সেই মান ধরে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি, যদিও সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে। আপনাদের সহযোগিতা, ভালোবাসা, পরামর্শ আর পাশে থাকার কারণেই আমাদের এই আন্তর্জাল পত্রিকার পুজো সংখ্যা দ্বিতীয় বছরে পা দিলো। আবারও আপনাদের মতামত, সমালোচনার প্রত্যাশী রইলাম আমরা, ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ পরিবার। ধন্যবাদ জানাই আমাদের এই সংখ্যার প্রত্যেক লেখককে, যাঁরা আমাদের এই বিপুল আয়োজনে সাড়া দিয়ে তাঁদের লেখা পাঠিয়েছেন, তাঁদের বক্তব্য জানিয়েছেন আমাদের বিভাগগুলির প্রয়োজন অনুযায়ী। আমরা আপনাদের প্রত্যেককে সঙ্গে নিয়েই বরাবর চলতে চেয়েছি, আপনারাই সাহস যুগিয়েছেন, পাশে থেকেছেন; তাই আজ আমরা এতোটা পথ অতিক্রম করতে পেরেছি।
আমাদের এবারের শারদ সংখ্যায় সাজানো হয়েছে বিখ্যাত ‘নতুনগ্রামের’ কাঠের পুতুল দিয়ে। বর্ধমান ও নদীয়া জেলার সীমান্তে অবস্থিত ছোট্ট একটি গ্রাম এটি। এখানকার ৪৫ ঘর মানুষ এই শিল্পের সাথে যুক্ত। আমরা নতজানু এই সমস্ত শিল্পীদের শিল্পকর্ম-এর কাছে। সামান্য কিছু নমুনা আমরা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি আমাদের এই সংখ্যায়।
সকলের পুজো ভালো কাটুক। অতিমারী এখনো সম্পূর্ণ অতিক্রম করতে পারিনি আমরা, তবু তার মধ্যে থেকেই খুঁজে নিতে হবে বেঁচে থাকার রসদ। আর, পুজোর এই আবহে আপনাদের পাঠসঙ্গী হয়ে উঠুক ‘হ্যালো টেস্টিং বাংলা কবিতা’ শারদ অর্ঘ্য।