Hello Testing

3rd Year | 10th Issue

৩০শে ফাল্গুন, ১৪২৯ বঙ্গাব্দ | 15th March, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

বি শে ষ  র চ না । পর্ব ৪

ডঃ রূপক বর্ধন রায়

rupak2

কারাবাসের কবিতা: বাংলা অনুবাদে ব্রায়টেন ব্রায়টেনবাখ

( গত সংখ্যার পর )

‘The true confessions of an albino terrorist’ বই থেকে।

মোটা দাগের বরফ পড়ে  

আমার ঘুমের ভিতর মোটা দাগের বরফ পড়ে

আর সাদা সেই সৈকত আর সাদা 

সেই নিষিদ্ধকর সমুদ্র– ঘষটে হওয়া দাগগুলোর

মাঝে এক বিষণ্ণ পথ চলা, কোলাহল আর কচকচানি, ত্যারছা হয়ে নেমে আসা আঘাতেরা।

 

ধূসর সিমেন্টের

নিঃসঙ্গ শহরগুলো।

ধূসর সিমেন্টের রাস্তারা আর গাছেদের

গায়ে ছোটো মাইক্রোফোনের মতো

ঝুলে থাকা জলকণা

যা ধূসরতাটিকে লুফে নেয় আর তাকে আরো প্রবল করে তোলে।

 

লোমশ জানলা-শার্সি ধোয়ানো জলপাইপগুলোয়

আমাদের পড়শিরা আছে, আইরিসের ভেজাভাবের উপর

চোখের পাতা। তোমার এলিয়ে পড়া শরীরের 

সাদা চোখে আমি নেমে

আসবো। তোমার দাঁতগুলো খুদে বরফ-মানুষ।

মণির অভ্যন্তরে নিশ্চিহ্ন হব আমি।

 

কালো জিভের প্রহরীরা

আছে– পুঁজভর্তি চাঁদের মতো

জিভগুলো– আর

ছেঁড়া 

সমুদ্রটা ও অভ্যন্তরের তলবিহীন বরফ-প্রান্তরের

মধ্যবর্তী গলাটায় রূপোলি মেশিনগানেরা:

একটা বর্ডারপোস্ট–

‘Buffalo Bill’ বই থেকে (জুন ১৯৭৬ – জুন ১৯৭৭-এর মধ্যবর্তী সময়ে লেখা কবিতা)

ফাঁসি

এখন ভোর পাঁচটা

পাখিরা গান গায়

যারা বর্তমানে ঊর্ধ্বমুখে বিদায় নেবে গান গায়

 

আজ হয়তো ওরা

তবুও উড়তে শিখবে

কিন্তু কাল ভোরে আবার পাখিরা গান গাইবে

‘Eklips’ বই থেকে (১৯৭৭ সালের মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৯ সালের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে লেখা কবিতা)

৭.৪

 

এটা আলকাতরাজ নাও হতে পারে

তবু পাখিটা আর

তার ক্ষুদ্র সাদা দানাগুলো সম্বন্ধে

আমিও সবটা জানি

 

 

আমার মেঝের রাত্রি যাপনে যখন আমি মাথার উপর দাঁড়াই

জেটমোটোরের উষ্ণ ঘ্যানঘ্যানানি শুনি আমি

আর থুতুর মতো কমলা আগুন ছিটানো ওদের সেই দপদপে প্রতিশ্রুতি

কালো রূপকের উপর দিয়ে আমায় দূরে আমার বাড়িতে পৌঁছে দেবে

 

১০.২

 

এই সমস্ত মৃত রাত্রিরা

ছাই স্তূপাকৃত সকালগুলো

ক্রমশ

লেখক পরিচিতি :  GE Heathcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত, ফ্রান্স-এর নীস শহরে থাকেন। টার্কি-র সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। এছাড়াও মার্কিন যুক্ত্রাস্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভারসিটি ও পি এইচ ডির পর বছর খানেক জার্মানির ফ্রনহফার সোসাইটিতে সায়েনটিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। লেখালেখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ট্রাভেলগ, সাহিত্য মনন নিয়েই। কলেজজীবনে বন্ধুরা মিলে “দেওয়াল” নামক কবিতা পত্রিকা চালিয়েছেন কয়েক বছর। এছাড়াও কবিতা, গদ্য প্রকাশ পেয়েছে একাধিক বাঙলা অনলাইন পত্র পত্রিকায়। লেখা লেখি ছাড়াও গান বাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে রূপকের সমান আগ্রহ রয়েছে।

আরও পড়ুন...