Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

বি শে ষ  র চ না । পর্ব ৫

ডঃ রূপক বর্ধন রায়

rupak2

কারাবাসের কবিতা: বাংলা অনুবাদে ব্রায়টেন ব্রায়টেনবাখ

( গত সংখ্যার পর )

“The true confessions of an Albino terrorist” বই থেকে

সেই ফেরা

মঁসিয়র-লু-প্রন্স রাস্তায়
বাঁহাত বরাবর লুক্সেমবার্গ বাগানের মত একই পাশ ধরে
নামতে নামতে, ওদিয়ন থিয়েটারের মতই
একই ধারে যেখানে সান্ধ্য সূর্য ডালপালাগুলোয় আগুন সংযোগ করে
যখন তারা গাছেদের ভিতরে আশ্রিত
স্বাধীনতার এক মৌচাক
আটষট্টির মে-মাসের মত পুরনো বর্তমান

 

মঁসিয়র-লু-প্রন্স রাস্তায়
আছে সেই রেস্তোরা যেখানে আমরা দেখা করবো
ঠিক নটায়
তুমি আমায় চিনতে পারবে, আমি আবারও দাড়ি রাখবো
যদিও তা সস্তা রূপোর
আর সেই আলজেরিয়ার মালিক-তথা-রাঁধুনে
তার লাল গালে বসত করা গোঁফ নিয়ে
আসবে আর তাহলে, ভাই আমার – বহুদিন পর…
বলতে বলতে
তার মাছি ভরা হাতদুটো রাখবে আমার কাঁধে

 

আমরা কি দুজনের মত ভেড়া মাংস আড় কুসকুস অর্ডার করবো?
আমি এখনই সেই বরফ-হলদে ছোট্টো দানাগুলোর স্বাদ পাচ্ছি
আর সেই ছিটেফোটা মাখন-
আর সূর্য ও সমূদ্রটায় ঠোক্কর খাওয়া
এক বোতল কুচকুচে কালো সিডি ব্রাহিম (A KIND OF WINE)?
আর এরপর ফুল-সজ্জিত আগুন-তূল্য ভেজা গ্লাসগুলোয়
পুদিনা-চা-কে কি বলবে?

 

সেই প্রাচীন প্রাচীন প্যারিসের রাস্তাগুলোর মধ্যে
সেই একই বাতাস ডাকছে শোনো

 

তুমিই সে যাকে আমি ভালোবাসি আর আমার দারুণ ভালো লাগছে!

 

মেটাস্পেক্স

সেই উঁচু জানলার পাটাতন থেকে
দক্ষিণপূর্ব বাতাসের সোনা ধুলো মুছে ফেলতে
যখন আমি চেয়ারটায় চড়ি
টাংস্টেন গরাদের পিছনের ফালি হওয়া ব্যাপ্তিতে
যা এক আরম্ভের জন্য রাস্তা করে নেয়
আমি সান্ধ্য হাওয়ায় দুটো সোয়ালো-পাখিকে খেলাচ্ছলে ঝুলতে দেখেছিলাম
মৃত্যুপথযাত্রী পৃথিবীর প্রজ্জ্বল্যে পালাক্রমে ধরা পড়তে আর বিমুক্ত হতে
অন্তহীন নীল স্বর্গীয় ব্লুগাম গাছের পাতানৌকার মত
মুক্ত, মুক্ত, মুক্ত
যেমন ওরা আগুন আর স্বপ্নের মাঝেই হুটোপুটি করছিল;
আর চোখ ও ঘুরপাক খাওয়া ধোয়া-বদ্ধ ধনুকের চারপাশে
উড়ানের মধ্যেকার মেটাবলিজমেই আছে জীবন
আমার মেয়েবন্ধু, আমার বোন, আমার বউ-
প্রাচীনতম ইঙ্গিত সৃষ্টির সময় থেকেই প্রতিটি ঘন্টাই
দেওয়া ও নেওয়ার শিষ্টাচার-

YK বই থেকে, অক্টবর ১৯৭৯ থেকে নভেম্বর ১৯৮২ সালের মধ্যে লেখা কবিতা

৪.৩


তুমি যখন এক যুবকের শরীর থেকে তার ঘেমো চামড়ার মত
আমার অবাধ্য যাপন আমার থেকে ছিড়ে নিয়েছিলে
আমি ভেবেছিলামঃ আমি এক শীতকালীন জেলখানায় থাকা
পাখি যতটা ততখানিই স্বাধীন! কোনোকিছুই আমায় আর প্রভাবিত বা এসে ও আমার
পাদুখানির মাঝে বিব্রত করবে না
এবং কেউই কখনওই আর আমায় ছুঁতে পারবে না


কিন্তু এখন এক আরো গুরুত্বপূর্ণ
বিষয় সম্বন্ধে ভয়টা (রাজনীতিবিদ আর শিষ্টাচার নির্মাতারা
মনোরম শুরুয়াত নতুন ভ্রমণ নিয়ে বকবক আর বর্ণনা করুক
রাজত্বের পতন হোক সানন্দে…): যে আমার পড়িজের থালা
আর রুটি হয়তো বা আমার কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হবে
যা দেখে আমি এখনও বোকার মত পকেটে রাখা হাতের কথা ভুলে যাই


হা ঈশ্বর, আমায় নম্রতায় বাঁধুন
আর বাঁচতে চাওয়ার উদ্দেশ্যে কূজনরত সেই ছোট্টো ডাভের মত
শাস্তি বিতরণ করা ওদের বিরুদ্ধে আমায় রক্ষা করুন

ক্রমশ

লেখক পরিচিতি :  GE Heathcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত, ফ্রান্স-এর নীস শহরে থাকেন। টার্কি-র সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। এছাড়াও মার্কিন যুক্ত্রাস্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভারসিটি ও পি এইচ ডির পর বছর খানেক জার্মানির ফ্রনহফার সোসাইটিতে সায়েনটিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। লেখালেখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ট্রাভেলগ, সাহিত্য মনন নিয়েই। কলেজজীবনে বন্ধুরা মিলে “দেওয়াল” নামক কবিতা পত্রিকা চালিয়েছেন কয়েক বছর। এছাড়াও কবিতা, গদ্য প্রকাশ পেয়েছে একাধিক বাঙলা অনলাইন পত্র পত্রিকায়। লেখা লেখি ছাড়াও গান বাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে রূপকের সমান আগ্রহ রয়েছে।

আরও পড়ুন...