Hello Testing

4th Year | 3rd Issue | June-July

৩০শে আষাঢ়, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 16th July, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

বি শে ষ  র চ না । পর্ব ৬

ডঃ রূপক বর্ধন রায়

rupak2

কারাবাসের কবিতা: বাংলা অনুবাদে ব্রায়টেন ব্রায়টেনবাখ

( গত সংখ্যার পর )

‘এক্লিপ্স’  বই থেকে ( ১৯৭৭-এর মাঝামাঝি থেকে ১৯৭৯-এর মাঝামাঝি সময়ে লেখা কবিতা)

 

 

একটা বেবুনের মত সন্ধে নাগাদ আমিও ধূসর হয়ে

যাই, শান্ত, পতনের ভয়ে পরিপূর্ণ যখন এই পৃথিবী সূর্যের 

থেকে দূরে সরতে থাকে এবং খসে পড়ে, সেই ধাবনের অন্তহীন

তল-দরজা দিয়ে ক্রমাগত খসে পড়েঃ- মৃত্যু

এক ধাবন-ও-পতন। কি আশ্চর্য যে ফলন্ত ও জরাগ্রস্ত 

মিত্রাক্ষর যাতে মৃত্যু এক সংজ্ঞাহীনতা হয়ে যায়, নিজেকে জীবনের

আশ্বাস দিতে চাওয়া হাওয়া-মোজাটার একটা গোড়ালি,

আর এই যে এটা যার এখন পৌরাণিক সকালের সাথে 

পিত্তের সবুজ স্বাদ রয়েছে আবারও একবার গোড়ালিটাকে আর ঈলমাছটাকে সারিয়ে তোলে

যদি ততক্ষণে শব্দগুলো ধাবনের মাঝেই পুড়ে শেষ হয়।

হৃদপিণ্ডকে ক্ষরণের জন্য আর জিভগুলোকে ঘষার জন্য ছেড়ে দাও-

ইতিমধ্যে আমি হাঁটু অবধি কবিতায় লুকিয়ে থাকি

কারণ তুমি আমায় জানো, জানো আমি কেঃ-

সেই অন্ধরাতের খুনি, শালা সেই উগ্রপন্থী!


১৭

 

সবুজ বাড়ন্তের সেই ক্ষুদ্র ছোপগুলো ঠাণ্ডায় ধূসর হয়েছে

শহর ও দেশের প্রত্যেকটি ভিত্তিপ্রস্তর ও ভাঁজে সর্বত্র

শুকনো পোকামাকড়     বিদ্বজ্জনের বউয়েরা

নিজেদের পুষ্ট পাছা দেখিয়েছে মা’কে কারণ

দৃশ্যত তার উচ্চারণে বাঁশিধ্বনি নেই এবং জাতীয় ও

নারীমূর্তির সাথে যথেষ্ট সদৃশ্য নয় আর বাবা বারান্দার শূন্য

চারাগাছটার পাশে বসে ছিলেন যখন দুটো যুদ্ধবিমান সান্ধ্য আকাশ চিরে

 ছুটে যায়

প্রত্যেকটির পতাকা ‘আর যুদ্ধ নয়’ এবং এছাড়াও ‘শান্তি’র দুর্বল

শব্দে ভরা আর যখন উল্লেখিত শেষেরটি ফেটে পড়ে একখানা

হুড়মুড়িয়ে নেমে আসে, এখানে

এই শুকনো বাগানে কালো পেগাসাসঃ- এক ভোঁতা অশ্বখুর; কিন্তু আমার কবিতা সুদীর্ঘ 

প্রতিশ্রুতি তখন অতীত আর আমি সন্ত্রস্ত পাছার ধুকপুকুনি মাসোনিক হোটেল 

যেখানে নেশাতুর রেনেসীঁয় অনুকৃতি সর্বোচ্চ গোপনীয় 

শারীরিক অলিগলিতে

খোঁজার অপেক্ষায় ঝুলে থাকে তার পাশ দিয়ে ততক্ষণে 

ফিরতি পথে

এবং লোহার গরাদে বন্দীঃ- জেলে

 

‘YK’ বই থেকে (অক্টোবর ১৯৭৯ থেকে নভেম্বর ১৯৮২-র মধ্যে রচিত কবিতা)

 

কেউ কেউ দুঃখজনকভাবে জীভ দিয়ে টিক-টিক(*) আওয়াজ করে

আর এই জায়গাটাকে বলে Eziqwaqweni

সেই বাড়ি যেখানে ডাকাতেরা থাকে;

অন্যরা বলে না এটা আরো অনেক বেশি করে

একটা কবরখানার মত যেখানে একজন ধ্যান করতে পারে

আর তাই একে Dlinza বলেই ডাকা উচিত;

কিন্তু আমি এতক্ষণে জানি যে তুমি তোমার 

পন্টিয়াস থেকে ছোট্টো পিটার থেকে ভুমেরু অবধি মুক্তির

গোলকধাঁধাবত খোঁজে এখানে হারিয়ে যাবেঃ-

এখানে তোমার সৎভাইয়েরা তোমার উলঙ্গ পাছা-ছিদ্র

এক পুরনো স্যাঁতস্যাঁতে গর্তে গুঁজে দেয়- সততই kwaDukuza

অবিকল হারিয়ে যাওয়া মানুষের জায়গা-

 

(*) নানান দক্ষিণ আফ্রিকীয় ভাষায়, মূলত বান্টু ভাষায় এমন ‘ক্লিক’ আওয়াজের ব্যবহার আছে। বান্টু পৃথিবীর প্রাচীনতম ভাষার একটি।

সমাপ্ত

লেখক পরিচিতি :  GE Heathcare-এ বিজ্ঞানী হিসেবে কর্মরত, ফ্রান্স-এর নীস শহরে থাকেন। টার্কি-র সাবাঞ্চি বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করেছেন। এছাড়াও মার্কিন যুক্ত্রাস্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা স্টেট ইউনিভারসিটি ও পি এইচ ডির পর বছর খানেক জার্মানির ফ্রনহফার সোসাইটিতে সায়েনটিস্ট হিসেবেও কাজ করেছেন। লেখালেখির স্বভাব বহুদিনের। মূলত লেখেন বিজ্ঞান, ইতিহাস, ট্রাভেলগ, সাহিত্য মনন নিয়েই। কলেজজীবনে বন্ধুরা মিলে “দেওয়াল” নামক কবিতা পত্রিকা চালিয়েছেন কয়েক বছর। এছাড়াও কবিতা, গদ্য প্রকাশ পেয়েছে একাধিক বাঙলা অনলাইন পত্র পত্রিকায়। লেখা লেখি ছাড়াও গান বাজনা, নোটাফিলি, নিউমিসম্যাটিক্সের মত একাধিক বিষয়ে রূপকের সমান আগ্রহ রয়েছে।

আরও পড়ুন...