ধা রা বা হি ক । পর্ব ২
মেঘ করলেই কেন মায়ের শাড়ির গন্ধ মনে পড়ে? কেন মনে পড়ে কাঁকুলিয়া রোডের সেই সরু গলি? সেই আশ্চর্য ঝুল বারান্দা, যেখানে সে বিকেলবেলা এসে একা দাঁড়াতো? আর দাঁড়ালেই বুকের মধ্যে টুপ টুপ করে ঠিক ঝরে পড়ত বৃষ্টির ফোঁটা। একটা বাঘ তখন আশেপাশের ঝোপ থেকে বেরোত। তখনই পাশের বাড়ির পাপু নীচ থেকে আমাদের দোতলার বারান্দার দিকে তাকিয়ে গলা তুলত, ‘সাড়ে চারটে বাজে। খেলতে যাবি না? আজ বুবলাদের সঙ্গে ম্যাচ। নাম এ বার!’
ব্যস, ছুট। ফুটবলের জন্য ছুট। কোনওরকমে গলায় গলিয়ে নেওয়া গড়িয়াহাটের হকার্স কর্নার থেকে কেনা সবুজ মেরুন জার্সি। আর ভাইয়ের গায়ে লাল-হলুদ। একই বাড়িতে দুই ভাইয়ের একজন মোহনবাগান আর একজন ইস্টবেঙ্গল কেন? প্রতিপক্ষ না থাকলে কখনও বাড়ির বারান্দায় ছোট রবারের বলে ওয়ান ভার্সেস ওয়ান ফুটবল জমে নাকি?
শীতকালে গলি ক্রিকেটে আমাদের সরু গলিটা হয়ে যেত ইডেন গার্ডেন্স আর বর্ষায় সেই ইঁটগুড়ি রঙের গলিটাই মোহনবাগান মাঠ। সাদা কভার, রুল টানা বঙ্গলিপি খাতায় তখন সাঁটা থাকতো আনন্দবাজারের প্রথম পাতায় বেরোনো মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল ম্যাচে সাদা-কালোয় শ্যাম থাপার ব্যাকভলির ছবি। বিকেল হলেই রেডিওয় ভেসে আসত অজয় বসুর গলা, আর কলকাতা লিগ তখন সেই ফোর বা ফাইভে আমাদের কাছে ছিল বিশ্বকাপের মতো। সেই সত্তরের দশকের শেষে তখনও সব বাড়িতে সাদা-কালো টিভি ঢোকেনি।
আমার মায়ের একটা অদ্ভুত ধারণা ছিল, বাড়িতে টিভি এলেই নাকি আমাদের দুই ভাইয়ের পড়াশোনা লাটে উঠবে এবং খুব তাড়াতাড়ি গোল্লায় যাবো। বহু চেষ্টা করেও মা অবশ্য গোল্লায় যাওয়া আটকাতে পারেনি।
পাড়া ক্রিকেট আর পাড়া ফুটবল, ঝোপে বল হারানো আর ইঁটের গোলপোস্ট। দুরন্ত ছক্কায় পাশের বাড়ির কাচ ভাঙা, বাড়িতে নালিশ এবং মায়ের হাতে চটাস চটাস স্কেলের বাড়ি। এসবের মধ্যেই একদিন গলা ভাঙল, ঠোঁটের উপরে গোঁফের রেখা দেখা দিল আর বারবার চোখ চলে যেতে লাগল দূরের ওই বারান্দা আর আকাশি নীল স্কার্টের দিকে। তার মধ্যেই সুযোগ পেলেই আনন্দমেলা শেষ করে হাত বাড়াতাম দেশ পত্রিকার দিকে। বাবার বইপ্রীতি ছিল, বাড়িতে দু-তিন আলমারি বই, আরও কিছু সর্বত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে। কিন্তু তার মধ্যে বেশ কিছু বইয়ে আমাদের দুই ভাইয়ের হাত দেওয়া বারণ ছিল। মোটা মোটা ইংরেজি নভেল বা কাশীদাসের মহাভারতে আমার খুব একটা আগ্রহ ছিল না। কিন্তু ক্লাস এইটে পড়ে ফেললাম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘আত্মপ্রকাশ’। রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিম, শরৎচন্দ্র ছিলেন ঠিকই, কিন্তু ওসবের চেয়ে পুজোসংখ্যার নীললোহিত, শীর্ষেন্দু বা সমরেশ বসু বেশি টানতেন। আলমারিতেই ছিল শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতাও।
সেটা বের করে একদিন পড়তে গিয়ে দুপুরবেলাটাই বদলে যেতে শুরু করল। মাথায় মধ্যে ঢুকে পড়ল, ‘বাঘ’।
‘মেঘলা দিনে দুপুরবেলা যেই পড়েছে মনে
চিরকালীন ভালোবাসার বাঘ বেরুলো বনে…
আমি দেখতে পেলাম, কাছে গেলাম, মুখে বললাম: খা
আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ, নড়ে বসছে না।’
কেন দুপুরবেলা বারবার পড়তে ইচ্ছে করে এই কবিতাটা? কেন আজকাল রোজ মেঘ করছে আর মন চলে যাচ্ছে নীল স্কার্ট আর ওই ঝুল বারান্দার দিকে? ভালোবাসার বাঘ ব্যাপারটা এ ভাবে টানছে কেন?
আঁখির আঠায় জড়িয়েছে বাঘ, নড়ে বসছে না— পড়ছি আর ভেবে যাচ্ছি। বোঝার চেষ্টা করছি। কিন্তু বুঝতে ইচ্ছেই করছে না। কেন বুঝবো? দরকার নেই তো। কোনও যুক্তির দরকার নেই। শুধু রহস্যময় ঘোরে ডুবে যাচ্ছি…
‘আমার ভয় হলো তাই দারুণ কারণ চোখ দুটো কৌতুকে
উড়তে-পুড়তে আলোয়-কালোয় ভাসছিল নীল সুখে
বাঘের গতর ভারি, মুখটি হাঁড়ি, অভিমানের পাহাড়…
আমার ছোট্ট হাতের আঁচড় খেয়ে খোলে রূপের বাহার।’
মাঝে মাঝে সন্ধের দিকে যখন সে বাবা-মায়ের সঙ্গে রঙচঙে ফুলছাপ স্কার্ট পরে বেড়াতে যায়, তখন ফুটবল খেলে ফেরার সময় সে দিকে তাকালেই বুকটা দুরদুর করে। মুখটা এত গম্ভীর করে রাখে কেন? হাসলে ওই ফর্সা গালে একটা টোল পড়ে, ওই গালটায় একটা আলতো আঁচড় দিলে কি রূপের বাহার খুলবে? যেমন লিখেছেন কবি?
স্কুলে ভাবসম্প্রসারণের ক্লাসে ‘নদীর এপার কহে ছাড়িয়া নিঃশ্বাস, ওপারেতে সর্বসুখ আমার বিশ্বাস’-এর সম্প্রসারণ করতে গিয়ে লিখতে ভুলে যাই। এক পৃথিবী লিখব বলে একটা খাতা দূরের কথা, একটা লাইনও শেষ করে উঠতে পারি না। সন্ধেয় বাড়ি ফেরার মুখে অবধারিত আমাকে ধরে তমালদা। বাবা প্রোমোটার, তমালদার চুল মিঠুন চক্রবর্তীর মতো। একটা ইয়ামাহা বাইক আছে। গত বছরের ভাসানে ডিস্কো ডান্সারের মতো নেচে পাড়া কাঁপিয়ে দিয়েছিল। তমালদা ক্যারমটা দারুণ খেলে, মাঝে মাঝেই আমাদের জুনিয়র গ্রুপটাকে গোল্ড স্পট আর আলু কাবলি খাওয়ায়। আর আমাকে দেখলেই বলে, ‘একটু এদিকে শোন তো…’
এই ‘এদিকে শোন’ ব্যাপারটা আমার খারাপ লাগে না। তমালদা তখন পাড়ার হিরো। বাকি বন্ধুদের সামনে তমালদা আলাদা করে আমাকে ডাকে আর এই বাড়তি ইম্পর্ট্যান্স পাওয়াটা আমি উপভোগ করি। বাইকটা পার্ক করে কাঁধে হাত রাখে। তার পরে এদিক ওদিক দেখে কাগজটা এগিয়ে দেয়। ‘দ্যাখ তো, কী লেখা যায়?’
মেয়েলি বাঁকা বাঁকা অক্ষরে লেখা এক পাতার চিঠি। রুল টানা কাগজে। সযত্নে ভাঁজ করা। তার মধ্যে দুটো লাইন আজও মনে আছে— ‘তোমার বাইকের পিছনে বসে উড়ে যেতে ইচ্ছে করে—নিঃসীম শূন্যে। পারবে তুমি উড়তে?’ আর একেবারে শেষে ‘ভালোবাসা কারে কয়? সে কি কেবলই যাতনাময়?’ তার তলায় ইতি লিখে কোনও নাম নেই— ডট পেন দিয়ে একটা পান পাতা আঁকা শুধু।
‘এ বার কী লিখব তমালদা?’
‘সে আমি কী জানি! গত চারটে চিঠিই তো তুই লিখে দিয়েছিস। জমিয়ে ফেলেছি পুরো। তুই কাল বিকেলের মধ্যে একটা জমাটি আনসার নামিয়ে দে শুধু— তা হলেই একটা গোল্ড স্পট। সঙ্গে বলাইয়ের দোকানের চিকেন রোল। মনে থাকবে?’
বলাইয়ের দোকানের চিকেন রোলের তখন আশ্চর্য খ্যাতি। কিন্তু ঠিক চিকেন রোল বা গোল্ড স্পটের লোভে নয়। অন্য কোনও কারণে বাড়ি ফিরে হোমওয়ার্কের ফাঁকে চিঠিটা নিয়ে পড়ি। তার পরে ফের উত্তর লিখতে গিয়ে শক্তি চট্টোপাধ্যায়ের শ্রেষ্ঠ কবিতার পাতায় ডুবে যাই—
‘ভালোবাসা পেলে সব লণ্ডভণ্ড করে চলে যাবো
যেদিকে দুচোখ যায়—যেতে তার খুশি লাগে খুব।’
তমালদার সে গীতবিতানের গান দিয়ে চিঠি শেষ করেছে বলেই সেই রবীন্দ্রনাথে যাবো? কখনওই না। যাবো না। এই লাইনগুলো দিয়ে চিঠিটা শেষ করব ঠিক করি। নিজের মতো করে সাজিয়ে গুছিয়ে চিঠি শেষ করে পরের দিন তমালদার হাতে তুলে দিই। বলাইয়ের দোকানের সামনে চিকেন রোলের গন্ধ ম ম করছে। তমালদা চিঠিটা খুলে পড়তে শুরু করে। কিন্তু শেষে এসে আটকে যায়। ‘এটা আবার কী লিখেছিস? ভালোবাসা পেলে সব লণ্ডভণ্ড করে চলে যাবো মানে কী? আমি তো ওর লাভার। আমি লণ্ডভণ্ড করে চলে গিয়ে অন্যের লাইন ক্লিয়ার করতে যাব কেন? জানিস ওর পিছনে কত ছেলের লাইন?’
আমি আমতা আমতা করে কিছু বলার আগেই তমালদা বলে ওঠে, ‘কাটতে হবে। এসব কাটতে হবে। ও যেখানে যাতনাময়-টাতনাময় দিয়ে লিখেছে, সেখানে তুই লিখলি, লণ্ডভণ্ড করে চলে যাবো! কোনও সেন্স নেই! ইডিয়ট কোথাকার!’
‘তা হলে কি আবার লিখব?’ চিকেন রোলের গন্ধ পেরিয়ে অন্য রকম সব কষ্ট ঢুকে পড়ছে ভিতরে। চোখ ছলছল করছে। কিচ্ছু দেখছে না তমালদা।
বলছে, ‘ছাড়। তোকে আর কিচ্ছু করতে হবে না। ওই শেষের কয়েক লাইন কেটে দিলেই হবে। ও আমি করে নেবো। নে, চিকেন রোল খা!’
বলাইয়ের চিকেন রোলও খুব তিতকুটে লাগল সেদিন। নির্ঘাত ঝালটা বেশি দিয়েছিল। নয়তো ফেরার পথে কেন হু হু করে মন খারাপের দেশে পৌঁছে যাচ্ছিলাম?
বাড়ি ফিরে আবার বইটা পড়ি। পরের কতকগুলো লাইন—
‘ভালোবাসা পেলে জানি সব হবে। না পেলে তোমায়
আমি কি বোবার মতো বসে থাকবো? চীৎকার করবো না,
হৈ হৈ করবো না, শুধু বসে থাকবো, জব্দ অভিমানে?’
তমালদা বোঝে না, বুঝতে পারেনি। কিন্তু আমার ভালো লাগছে। ঠিক এই কথাগুলোই লেখা উচিত ছিল। লিখতে দিল না শুধু!
দিন দুই পরে বাবা-মায়ের সঙ্গে দীঘা যাত্রা। তিন দিনের ট্রিপ। সমুদ্রে দাপাদাপি করে ফিরে পরের দিনই বিকেলে ফুটবল মাঠে। সেখানেই তমালদা ধরল। কাঁচুমাচু মুখ। ‘শোন না, একটা কেলো হয়ে গেছে… তোর সেই চিঠিটায়…’
‘কী হলো?’
‘আমি কয়েকটা লাইন অ্যাড করেছিলাম। তাতেই গণ্ডগোল হয়েছে। ও ধরে ফেলেছে, কেউ না কেউ আমার চিঠিগুলো লিখে দেয়। বলেছে, যে চিঠি লেখে, তাকে না দেখালে আর কথা বলবে না। একমাত্র তুই আমাকে বাঁচাতে পারিস—’
‘না না, আমি এসব পারবো না। কী অ্যাড করতে গেলে তুমি?’
‘বিশ্বাস কর, দুটো লাইনের বেশি অ্যাড করিনি। লিখেছিলাম, তোমাকে সারা জীবন স্মরণীয় করে রাখবো—আর বানানটা…’
‘স্মরণীয় করে রাখব? উফফ, কাউকে স্মরণীয় করে রাখা যায় নাকি?’
‘দূর বে, আমি কি তোর মতো বাংলায় পণ্ডিত নাকি? ওসব ছাড়। যা হওয়ার হয়ে গেছে। এখন তুই সামলে দিলেই সব ঠিক হয়ে যাবে! জানিস, চিঠিটা পর্যন্ত রাখেনি। ফেরত দিয়ে দিলো!’
‘দাও তো একবার!’
ঠিক যা সন্দেহ করেছিলাম, তাই। তমালদা লিখেছে, ‘তোমাকে সারা জিবন সরোণিয় করে রাখবো!’
এ বার বল আমার কোর্টে। একটুও না হেসে গম্ভীর হয়ে বললাম, ‘এ আর সামলানো যাবে না। পুরো গুবলেট করে দিয়েছো!’
তমালদা নাছোড়বান্দা। ঠিক নাকি সব ম্যানেজ করে নেবে। শুধু আমাকে একবার সে স্কুল থেকে ফেরার সময় তমালদার বাইকে করে যেতে হবে। আমি যতোই না বলি, ততো চেপে ধরে তমালদা।
পাড়ায় তমালদা হিরো। জলে থেকে কি আর কুমিরের সঙ্গে লড়া যায়? তাই যেতেই হল। লেকের কাছে সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ে কমলা গার্লস স্কুলের গেটের কাছে নির্দিষ্ট জায়গায় দুরুদুরু বুকে অপেক্ষা করছি। এক দঙ্গল মেয়ের মধ্যে দু’টি মেয়েকে দেখে এগিয়ে গেলো তমালদা। হল্যান্ডের জার্সির মতো কমলা রঙের স্কার্ট, সাদা টপ। দু’দিকে বিনুনি করা, কাটা কাটা চোখ-মুখ, সামান্য চাপা নাক, ফর্সা গাল, চোখ দুটোর মধ্যে বিস্ময়কর চঞ্চলতা। এক ঝাঁক মেয়ের মধ্যে এই মেয়েকে আলাদা করে চোখে পড়বে। মুখে সৌন্দর্যের সঙ্গে মিশে আছে গোপন অহঙ্কার। সঙ্গিনীর সঙ্গে কলকল করে কথা বলতে বলতে হেঁটে আসছে। তমালদাকে দেখেই অন্য দিকে মুখ করে হাঁটার গতি বাড়িয়েছে। তমালদা আমার হাতটা চেপে ধরে দৌড়ে গিয়ে একেবারে সামনে এসে দাঁড়ায়, ‘সুকন্যা, এক মিনিট…’
মেয়ে চোখ ঘুরিয়ে চঞ্চলা হরিণীর মতো তাকায়। যেন চোখ দিয়েই পুড়িয়ে সব ছাই করে দেবে। তার পরে বলে, ‘তুমি?’
‘এই যে— এ-ই লিখে দিয়েছিল চিঠিটা—’
আমাকে দেখছে সে। মাপছে। বলছে, ‘এ লিখেছে? কে হও তুমি ওর? কে হও?’
আমি কিছুই বলতে পারছি না। ভয়ে হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। তমালদা মিউমিউ করে বলছে, ‘পাড়ার ছেলে। ভাইয়ের মতো।’
শুনছেই না কমলা স্কার্ট। আমার দিকে তাকিয়ে কড়া গলায় বলছে, ‘তুমি ভাই তো? তোমার দাদাকে একটা বাংলা ডিকশনারি কিনে দিও। সেখানে দেখে নেবে, কী ভাবে স্মরণীয় বানানটা লিখতে হয়, বুঝেছো?’
তমালদা কী একটা বলতে যাচ্ছিল। মেয়েটা হাত তোলে, ‘একদম পিছন পিছন আসবে না। যে ওই বানান লেখে, তার সঙ্গে প্রেম করা যায় না! চল নন্দিনী।’
সঙ্গিনীকে নিয়ে সে এগিয়ে যায়। তমালদা বোকার মতো আমার দিকে তাকিয়ে একটা হাসি হাসে। তার পরে বাইকে স্টার্ট দেয়। তার পরে বলে, ‘একটু সময় লাগবে। ঠিক ম্যানেজ করে নেবো, তুই দেখে নিস।’
সাদার্ন অ্যাভিনিউ দিয়ে বাইক ছুটে চলে। তমালদার পিছনে নির্বোধের মতো বসে থাকি আমি। যতদূর চোখ যায়, সামনে শুধু বিস্ময়কর সব সরলরেখা। কানের পাশ দিয়ে সোঁ সোঁ করে হাওয়া দিচ্ছে। আবার লাইনগুলো মাথার মধ্যে কিলবিল করতে থাকে, করতেই থাকে।
‘ভালোবাসা পেলে সব লণ্ডভণ্ড করে চলে যাবো
যেদিকে দুচোখ যায়—’
ক্রমশ