ক বি তা
তুমি তবে কতটুকু
ফিরে তাকিয়েছো কোনোদিন
নিজস্ব অঙ্গনে— কতটুকু তোমার ক্ষমতা,
প্রসারিত হৃদয়ে তুমি
হাওয়া ভরে একদিন মেঘের ভিতরে
ফিরে যাবে, ভেবেছিলে—
হা ঈশ্বর ! হে করুনাঘন কৃপাময় !
নেহাতই কথার ফাঁকে
কথা দিয়েছিলে কোনো আপাত
শান্ত পৃথিবীকে
ঝড় নেমে আসার বিকেলে…
বিদেশী ভাষার মতো
অচেনা চিহ্ন কিছু
সাজিয়েছ বুকের পাঁজরে সদাশয়,
দুই ঠোঁট কেঁপে কেঁপে ওঠে
অবিরাম স্থবিরতা
কিছুই ঘোচাতে পারোনি
কিছুতেই মেলেনি উপায়—
দশ – কুড়ি বড়োজোর সত্তর বছর
পার করে একবার চেয়ে দেখো
নিজস্ব শরীরে
অতএব, ঠিক কতটুকু
তবে তুমি… চেয়ে দেখো
একবার !
ভ্রান্তি গুপ্ত সহবাস করে যন্ত্রনার সাথে l
হাতের ভিতরে হাত,
চোখের ভিতরে জ্বলে চোখ,
জিভের ভিতরে জিভ খেলা করে…
তারা চুপচাপ সুন্দরবন যায়,
ডিঙিনৌকো চাপে
লালকাঁকড়া ধরে
ভাজামাছ উল্টেপাল্টে খায়
কড়মড় করে,
হরিনের চোখ দিয়ে বাঘের থাবার
দাগ দেখে l
তারপর ডিনারের শেষে মার্কেট থেকে কেনা
গোপন রোগের ওষুধ শেয়ার করে l