ক বি তা
অতিবেগুনি স্বপ্নেরা ক্রমশ একা হয়ে যাচ্ছে। আসলে একটা সময় পর আমাদেরকে একা হয়ে যেতে হয়। রঙের চালাকি শেষে নিভে যায় রংমশাল। এরপর চেনা রাত্রি শব্দ সাজিয়ে দেবে অন্ধকার প্লেটে। গোধূলি ভুলে যাবে ভূমিকা। আমরা সম্পর্ক দিয়ে রচনা করবো অন্ধকার। অন্ধকার দিয়ে ভালো থাকার জ্যামিতিবক্স। ক্ষমতা আর অস্তিত্ব শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে নিজেকে নির্মাণ করবে অবলীলায়। আরব্যরজনী থেকে বেরিয়ে আসবে শান্ত সিংহ। তার পায়ের তলায় জ্যোৎস্না, কপালে চৈত্রমাস। আমরা একে অন্যের দিকে ভয়ঙ্কর ভাবে তাকিয়ে থাকবো। ক্রাচে ভর দিয়ে হেঁটে আসবে প্রিয় শহর। হে মাহেন্দ্রক্ষণ, অতীতের ধুলো ঝেড়ে উঠে দাঁড়াও আর কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে ট্রাপিজের খেলা।
আবহাওয়া দপ্তর বলছে আজ রাত থেকেই বজ্র বিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা…
তুমি জীবনমুখী হয়ে ওঠার বাহানায় নরকগামী হয়ে গেলে যেদিন
সেদিন প্রথম শর্টসার্কিট হয়েছিল মস্তিষ্কে।
তারপর থেকে আমি নষ্ট দুধে স্নান করি
প্রতিদিন।
ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে কুকুরের মতো ছিঁড়ে নিতে চাই জিভ।
শহরের নিকোটিনে জ্বলে ওঠে তোমার স্বচ্ছতোয়া চোখ।
আমি অন্ধকারকে এপিঠ ওপিঠ করে স্থাপন করি প্রেমের কবিতায়।
তারপর সূর্য নিভে যায়,
সমস্ত অপরাধবোধ ধুয়ে আমি আচমন করি অনিবার্য মৃত্যুকে…