অ নু বা দ
স্যামুয়েল ওয়াগন ওয়াটসন ( Samuel Wagan Watson) ১৯৭২ সালে ব্রিসবেনে জন্মান। জন্মসূত্রে তিনি আইরিশ, জার্মান এবং অস্ট্রেলীয় অ্যাবরিজিনাল। তাঁর প্রথম কবিতার বই ‘Of Muse, Meandering and Midnight’ ১৯৯৯ সালে বেরোয়। ২০০১ সালে বেরোয় ‘Itinerant Blues’ এবং ‘Hotel Bone’। ২০০৪ সালে বেরোয় ‘Smoke Encrypted Whispers’। সেই বছরই বইটি ‘Kenneth Slessor Prize for Poetry’ পুরস্কার পায়।
১
আমি ঘরে বসে
আর কথা বলছে ওরা
রাষ্ট্রসঙ্ঘের দূতের আরো একটা দল ধরা পড়েছে
তাদের দেশ
যে জন্য আহত আরেক দেশের হাতে
আরেকটা দুর্ভোগ
২
ওদের কয়েকজনকে মারি আমরা
তাই ওরাও মারে আমাদের কয়েকজনকে
সারারাত বীয়ার ঢালা যাবে না
তবে পাঁচ ডলারেই আমাদের ভেতরের অন্ধকার দিকগুলো
দেখতে পাবে এক ঝলক
চার্লি পার্কারের সুর শুনতে শুনতে
যার মধ্যেও ছিল একই রকম নরক
যা এখানে খুঁজছি আমরা
৩
কেউ একজন যখন চীনে গেল
কিছু লোক লেগে পড়ল চিলিকে বদলে দিতে
আর বীয়ার ফুরোতে শুরু করল দু’গুণ দ্রুত
কিন্তু বিমানবন্দরের গার্ডরা চোরাচালান আটকে দিল গোড়া থেকেই
আর আমাদের দিকের কেউ কেউ প্রশংসা করছে
বিষ দেওয়া খাবার আর রক্ত জমাট রেডিওর
আমি তখন এখানেই আছি
ষাঁড়ের লড়াইয়ের ভিড়ের মতো চ্যাপ্টা হয়ে
যেখানে ধীরগতি ভোরের মতো
তলানিটুকুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন হেমিংওয়ে
ধারণাতীত জলভরা চোখে
একজনের পায়ে ছুরি ফেলে দেওয়া
কোনোভাবেই
একজনের জিভে টাকিলা ঢেলে দেবার মতো নয়
মেয়েটির পোশাকের ফুলগুলো
তবু এটাই চেয়েছিল আমার কাছে
আর রাত্রি তখন,
হ্যাঁ
সরে দাঁড়িয়ে ছিল বাইরে
সারাক্ষণ তারা বেকন রান্না করছে ক্যানসার ওয়ার্ডে
আজ মঙ্গলবার
আর মাথার ক্ষত থাকে সোমবার পর্যন্ত
কিন্তু ওরা রোগীদের বেডে
এখনও বেকন রান্না করে যাচ্ছে
ফোস্কা আর চর্বির একটা মুখ
ভয়ার্ত চিৎকারগুলোকে প্রশ্ন করার কেউ নেই
যতক্ষণ না সার্জারি মিউজিক
কয়েকজনকে বাদ দিয়ে
সামলে নেয় অন্যদের
মরে যাবার জন্য বেঁচে থাকার জন্য কেঁদে ওঠার জন্য
প্রায় কেউই নেই
অন্ধকার দেখাশোনা করছে বাকিদের
মৃত্যুর সঙ্গে এই বেকন ভোজ
চোখ থেকে
আর হাত গলা টিপে ধরছে চাদরের
যন্ত্রণাকে ধরার জন্য
যাকে একটা লাঠির মাথায় ভিজিয়ে
জীবাণুমুক্ত করা হয়েছে
আর একটা কোণ যেখানে শ্বাস নেওয়া যায়