ক বি তা
উত্তরের হাওয়ায় দুলছে একটা চোখ, এখান থেকে
নদী নেমে যাওয়ার কথা বলেছিল কেউ।
বৃষ্টির উল্লাসে কথারা হঠাৎ চুপচাপ,
শুধু প্রেমিকের দৃশ্য বদলাতে থাকে একে একে …
আমাদের দক্ষিণের ব্যালকনিতে
কাজের দিদি ভুল করে জামা কাপড়-এর বদলে
একটা চোখ শুকাতে দিয়েছে আজ…
ডাকপিয়নের সাইকেল ক্রমশ এগিয়ে আসছে
কচি কলাপাতা রঙের শাড়ি পড়া মেয়েটির দিকে।
হঠাৎই কেউ রোদ্দুর ঢেকে দিল…
লোকটা ক্রমশ পাগল হয়ে যাচ্ছে,
লোকটা ক্রমশ আরও আরও পশ্চিমে সরে যাচ্ছে;…
নদী গর্ভ থেকে গোগ্রাসে তুলে নিই সেই সব কথামালা ,
এতদিন লুকিয়ে রেখেছিলে কেন ?
প্রেমিকার ভেজা চুলের ভেতর বিষণ্ণতার ক্ষত জমাট বাঁধছে
মাঝে মাঝে নেশা হয় – ঘাম জমা হয়
উপত্যকার শরীর চুঁইয়ে মাদাগাস্কার অরণ্যে;
নেশা হয় কবিতার জন্য – প্রেমের জন্য
যেভাবে গাছেদের নেশা হয়…
চিৎ হয়ে শুয়ে থাকি ইকুস্ট্রিয়ান দৃশ্যে;
সাঁতরে পার হওয়া কালো কালো অন্ধকারে
অসম্ভবের বৃষ্টি ছিলনা কখনও!
প্রেম হতে হতে ভেসে গেছি শুধু
ওপাড়ার বারান্দায়…
সাঁকো; জোয়ারের শব্দেই
ভেসে যায় মাঝে মাঝে,
ভেসে যেতে চায় অকাল বন্ধুত্ব
আর গাঢ় থেকে গাঢ় হয়
কুয়াশা মদির মেয়ে বৈষ্ণবী…
তবুও মাঝে মাঝে নেশা হয় উপত্যকার গভীরে,
অরণ্যের ডাল ভেঙে চুঁইয়ে নেমে আসে কবিতারা,
চাঁদ ভাসে নোনাজলে; নেশা হয়ে ফিরে আসে
প্রেমিকার ফেলে যাওয়া বাইসাইকেল।