ক বি তা
মৎস্যকন্যা হে
দুদিন দুরাত ভেসে সান্ধ্যনগরীতে কেন এলে
ডিমলাইট জ্বলে উঠছে ব্লু মাগ ক্যাফেতে
বাদামি টেবিল থেকে ইতস্তত উড়ে যাচ্ছে
হান্স এন্ডারসনের পাতাগুলো
তোমাকে দেখেছে বলে প্রস্তরীভূত হয়ে গেল
সহস্র পুরুষের চোখ
পাখিরা বন্দর ভুলে উড়ে গেল সূর্যাস্তের দিকে
বন্ধনে জড়ালে, যেন বৃষ্টিপথে ঢেউ
তোমার পোশাক থেকে জল ঝরে ডুবে গেল কলকাতার পরি
উরুবাম্বার তীরে ইনকা উপত্যকা
হাজার বছর ধরে তোমার ফিসফিস শব্দেরা
কোথাও বা প্রবালের দ্বীপ হয়ে আছে,
কোথাও বা ঝাউবনে অনিন্দ্য জ্যোৎস্না
তোমাকে দেখবে বলে দূর্গের দরজায় দাঁড়িয়েছে নক্ষত্র ভাইয়েরা
ডুবন্ত মানুষ শুধু তোমাকে বিশ্বাস করে
নেমে যাচ্ছে অতলের দিকে
সেই তুমি, এক হাতে গোলাপগুচ্ছ আঁকা খাতা,
কী জানি কার অপেক্ষায় একাকী ঘোড়াটি
এই সমুদ্রকালীন মেঘমাসে
নীল ঝিনুকের খামে কান্না জমিয়ে রাখছ
নিঃসঙ্গ লাউডন স্ট্রিটে
সিনেমায় যেমন হয়
খুনের খানিক আগে প্রবল আক্রোশে মাথা নাড়ে
সমস্ত প্রকৃতি, যেন অশুভ নৃত্যের পাশে
বেজে ওঠে নিরুদ্ধ সংগীত
ঘূর্ণিঝড়ের মতো আকাশকে ছুঁয়ে ফেলে সূক্ষ্মতর বালি
ছাড়ানো হাড়ের মতো একটি গোপন সাদা ছুরি
বিষপাত্র, গূঢ় শব্দাবলী
কে খুন করবে কাকে
কে যে আততায়ী
প্রতিটি অস্তিত্ব দেখে মনে হয়, ষড়যন্ত্রকারী
নিঃশ্বাস শুকিয়ে আসে
শরীরের প্রতি কোষ হিম
বিস্ফোরণ মুহূর্তেও অপার্থিব সৌন্দর্যের আলো
মূক ও মূঢ় করে দেয় মৃত্যুস্পৃষ্টকে
তোমার সামনে এলে আমারও এমন
ধিকিধিকি মরে যাই আদ্যোপান্ত প্রেমে