ক বি তা
১
এ চোখ জেগে ওঠে শেষরাতে
এ রাতের তলপেট দিনের বুকের মতো শান্ত,
অসুখে ছেয়েছে যে বৃদ্ধ উঠোন
তাকে কী কখনো দেখব না ছুঁয়ে!
মৃত্যুর নামে সে মাটি ফেলে রাখে পায়ে
মৃত্যুর যে নাম পরিণতি হবে জেনেছে সকলে
শুধু ভূমিকা এসে বদলে দিয়েছে তার গান—
এ গান জানলা ছুঁয়ে পাতার চোখে এসে বসে
মহাপাপে সুন্দরী ডাল-পালা কেটে ছেঁটে
শুয়ে থাকে সারারাত
মহাসুখে রাক্ষুসী নদী ভেঙে গাছে বসে
গান গায় সারারাত
২
গাছ দুলে ওঠে , বলে যায়
বৃন্ত ছিঁড়ে এ মধুকুলকুলি নিয়ে যাও জীব
বিরোধী ঘুমের রসাতলে অকাতরে পড়ে থাকা জীব
নিদ্রা তার ঘাসের মতো নিরাপদ—
জানালার অদূরে নুইয়ে আছে সে গাছ
যে আজীবন মরা মানুষের ছাই হয়ে বেঁচে থাকা জানে
মধ্যরাতে পর শরীর তার ভৌতিক হয়ে আসে
গা কিরকির করে, ভোরে সে ঈশ্বরী হবে তবু—
সুন্দর ভেঙে যেতে চায়
সুন্দর চায় তার ভেতর ছেনে
বেরিয়ে আসুক সে পালকের নাভিদাগ—
পালকের মরামেধায় হাসে চন্দ্রদাগ
সুন্দরী শীতল হয়ে আছে কতকাল
এ দেহ দেহপাশে নাগপাশ রাখে
ছুঁলে দেখা যায় তারা রাক্ষুসী মহাকাল—