Hello Testing

4th Year | 2nd Issue

৩১শে বৈশাখ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | 15th May, 2023

প্রচ্ছদ কাহিনী, ধারাবাহিক গদ্য, ছোটোগল্প, গুচ্ছ কবিতা, কবিতা, প্রবন্ধ, উপন্যাস, স্বাস্থ্য, ফ্যাশান ও আরও অনেক কিছু...

শ্র দ্ধা  জ্ঞা প ন

প্র ভা ত   চৌ ধু রী

“আমার মৃত্যুতে কাঁদবে না গীতবিতান পড়বে।”

১৯৪৪ - ২০২২

বাংলা কবিতায় ‘উত্তরাধুনিক কবিতা’-র পুরোধা কবি প্রভাত চৌধুরীর জন্ম ১৯৪৪ সালে বাঁকুড়া জেলার হাটকেষ্টনগরে। ষাটের দশকে কৃত্তিবাস পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের ভিতর দিয়ে তাঁর লেখালিখি শুরু হয়। ১৯৬৬ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘শুধু প্রেমিকার জন্য’। প্রায় ১০ বছর সাহিত্যের জগত থেকে দূরে সরে থাকার পর ১৯৯৩ সালে শুরু করেন তিনি তাঁর বিখ্যাত ‘কবিতা পাক্ষিক’ পত্রিকা। এবং অচিরেই তা হয়ে ওঠে তরুণ কবিদের একটি পরম ভরসাস্থল, বাংলা কবিতা নিয়ে পরীক্ষার নিরীক্ষার একটি নির্ভরযোগ্য স্থান। মৃত্যুর আগে অবধি তরুণ কবিরাই ছিল তাঁর পরম বন্ধুজন।

 

পত্রিকার সাথে সাথে ‘কবিতা পাক্ষিক’ প্রকাশনীরও যাত্রা শুরু হয়। কত যে তরুণ কবির কবিতার বই ‘কবিতা পাক্ষিক’ থেকে প্রকাশ পায় তার ঠিক নেই। সেই সাথে একে একে প্রকাশিত হতে থাকে অনবদ্য বইগুলি। ১৯৯৪ সালে ‘সাদা খাতা’, ১৯৯৭ সালে ‘সাক্ষাৎকার’, ১৯৯৮-এ ‘আবার সাক্ষাৎকার’। অন্যান্য বইগুলির মধ্যে ‘নোটবই’, ‘উত্তরপর্বের কবিতা’, ‘এইসব হল্লাগুল্লা’, ‘সুসমাচার’ উল্লেখযোগ্য।

 

একটা কথা তিনি খুব জোরের সঙ্গে বলতেন, “আমি রবীন্দ্রনাথের হয়ে কবিতা লিখি, অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে যা লিখতেন আমি তা-ই লিখি।” তিনিই বলেছিলেন “আমার মৃত্যুতে কাঁদবে না গীতবিতান পড়বে।” আদ্যন্ত রবীন্দ্রনাথপ্রেমী কোনো কিছুর সাথে আপোষহীন তরুণ কবিদের পরম আপনজন এই মানুষটি বাংলা কবিতায় অজেয় অমর হয়ে থাকবেনই এই আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস।

আরও পড়ুন...