উ জ্জ্ব ল পা ঠ । পর্ব ৭
১
সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতার কথা বলতে গেলে কবিতা লেখার প্রথম দিকের কথা মনে পড়ে। সময়টা ২০১৪-২০১৫ হবে। ফেসবুকে সিনিয়র দাদাদের দেখতাম তাঁর কবিতা শেয়ার করতে। তখনই শুনেছিলাম ওঁর বইপত্র পাওয়া যায় না। কিছুদিন পরে ফেসবুকে ‘কবি সজল বন্দ্যোপাধ্যায়’ ( https://www.facebook.com/PoetSajal ) নামে একটি পেজ পাই। ওখান থেকে নানা কবিতা পড়তাম। বই হাতে নিয়ে পড়ার সৌভাগ্য হয়নি। তারপর দীর্ঘদিন কেটে গেছে। একদিন অনিন্দ্য দা’র (কবি অনিন্দ্য রায়) সঙ্গে কথাপ্রসঙ্গে জানতে পারি— ২০২০ কলকাতা বইমেলায় ‘গ্রাফিত্তি’ থেকে প্রকাশ পেয়েছে সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচিত কবিতার সংকলন ‘সজল সরণী’। সম্পাদনা করেছেন কবি নীলাব্জ চক্রবর্তী। নীলাব্জদার সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় থাকলেও সেভাবে কখনো আলাপ হয়নি। তখন ভরা লকডাউন। কলকাতায় না ফিরলে সংগ্রহ করার উপায় নেই… অপেক্ষায় থাকতে থাকতে একদিন সুযোগ এল। বেলঘরিয়া স্টেশনে সদাহাস্য নীলাব্জদার থেকে বইটি সংগ্রহ করলাম। ষাটের দশকের এই কবি চন্দননগরের তেলেনীপাড়ায় বেড়ে উঠলেও জীবনের অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন কলকাতায়। বাংলা কবিতা আন্দোলনের এক সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। ‘মঙ্গলবার্তা’ নামে বাইবেলের অনুবাদ গ্রন্থ প্রকাশ করেছিলেন। এই বই দু-বাংলাতেই জনপ্রিয় হয়। যদিও তিনি সবসময় প্রচারবিমুখ থাকতে পছন্দ করতেন।
২
প্রথমে কবির একটি কবিতা পড়ব—
ছবি
সমস্ত সিঁড়িতে
তোমার ছবি
ধূপের ধোঁয়ায়
পায়ের শব্দে
বেজে উঠুক
ফুটে উঠুক ফুল
সারাক্ষণ
নতজানু
সাপের ওপর যেতে যেতে
তোমার বুকের রক্ত দু’হাত পেতে
তোমার হাতের পেরেকের দাগ থেকে জলছবি নিয়ে
নিজের হাতের ছাপ দিয়ে
তোমার আমার ছবি
সমস্ত সিঁড়িতে।
‘ছবি’ কবিতাটিতে শুধু নামকরণে নয়, চিত্রময়তা কবিতাটির সর্বস্ব জুড়ে। কবিতাটি পড়ার সময় মনে হয়, কবি একটি সাদা ক্যানভাসে রং-তুলি নিয়ে দৃশ্য আঁকছেন। আর আমরা সেই দৃশ্যের সামনে বসে থাকা একজন দর্শক, দেখছি— কীভাবে ক্যানভাস জুড়ে একটু একটু করে ফুটে উঠছে ছবি। এই ছবি যেন তাঁর জীবনের সিঁড়ি। নিজের হাতে পেরেক গেঁথে, সেই রক্তে আঁকা জলছবি। এই ছবি কি কবি কখনো নিজে দেখতে চান? নাকি দেখতে চান না বলে ক্যানভাসে ছড়িয়ে দেন নিজ ধূপধোঁয়া?
কবির একটি কাব্যগ্রন্থ ‘মিড়’। এই কাব্যগ্রন্থের প্রতি আমার আলাদা একটা দুর্বলতা আছে। সংগীতের একটি স্বর থেকে আরেকটি স্বরে অবিচ্ছিন্নভাবে গড়িয়ে যাওয়াকে মিড় বলে। কবি এই কাব্যগ্রন্থের নাম ‘মিড়’ কেন রাখলেন? মহাদিগন্ত পত্রিকা সম্পাদক উত্তম দাসের লেখা সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নির্বাচিত কবিতা’র ভূমিকা থেকে জানতে পারি— পারিবারিকসূত্রেই তাঁর সঙ্গে গানের সংযোগ। এরপর দেবব্রত বিশ্বাসের গানের প্রতি ছিল তাঁর অপার মুগ্ধতা। আর রবীন্দ্রসংগীতকে জীবনের চালিকা শক্তি হিসেবে নিয়েছিলেন। গানের সঙ্গে তাঁর যাপনের প্রতিফলনই হয়ত এই কাব্যগ্রন্থ…
এই কাব্যগ্রন্থ থেকে কয়েকটি কবিতা প্রথমে পড়া যাক—
মিড়
২
সমস্ত সময় বারান্দায় ছায়া
১১
ঘড়িতে দম দেওয়াও যা
না দেওয়াও তা—
১৯
সারাটা দিন পুকুর ভরা রাত
৩০
আর একটা চুল
সাদা হয়ে গেল—
আয়নায় দেখতে দেখতে
আয়নাটা বরফে ঢেকে যাচ্ছে—
আয়নায় ভেসে ওঠা মুখটাও
সাদা হয়ে যাচ্ছে—
৪৬
বরফের পাশে
পাত্র ধ’রে
দাঁড়িয়ে আছি
গ্রীষ্মের জন্যে
ঠায় অপেক্ষা করছি
৫৮
ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালের
চুড়ো বেয়ে
সাবানের ফেনা গড়িয়ে পড়ছে—
‘মিড়’ ৫৮টি কবিতার সিরিজ বলা যায়। এই কাব্যগ্রন্থটি যতবার পড়ি, মনে হয় একজন দার্শনিক গান গাইতে বসেছেন। সহজ, ইঙ্গিতময় একটি পর একটি বাক্য rhythm হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে। কবিতার সঙ্গে গানের যে অদ্ভুত যোগ তা আমরা জানি। লালন, কুবীর, কবীর এঁরা প্রত্যেকে গানের মাধ্যমে মানুষের মনের ভিতর পৌঁছেছিলেন। ভাষার মধ্যে সুর প্রবেশ করলে তা আরও গতি পায়। সুর অতিমাত্রায় স্পন্দনশীল… সুরের কোনো বিশ্লেষণ হয় না… সুর কেবলই অনুধাবনযোগ্য… ইঙ্গিতময়… ‘ঘড়িতে দম দেওয়াও যা/ না দেওয়াও তা—’ এই দু-লাইনের একটি কবিতা (অণু কবিতা!) কী অদ্ভুত ইঙ্গিতময়ে তরঙ্গায়িত হচ্ছে! সত্যিই তো ঘড়িতে দম দিলেই বা কী, না দিলেই বা কী? জীবনের পাঠ বা অভ্যাস কি ঘড়িতে দম দিয়ে সম্ভব? বরফাবৃত আয়নাতে নিজের সাদা মুখ দেখতে দেখতে আমরা কি কখনো ভাবি, একটা পুকুর ভরা রাত আমরা পেরিয়ে যাচ্ছি? না, এ কেবল কোনো গ্রীষ্মের ঠায়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা—
স্মৃতিসৌধের চূড়া বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে আমাদের শরীর ধোয়া সাবানের ফেনা?
সজল বন্দ্যোপাধায়ের আরও কিছু কবিতা পড়লে তার ভিতরে প্রবেশ করতে সুবিধা হবে। পড়া যাক—
স্বপ্ন
আমি পাহাড়ে ছুটি কাটানোর স্বপ্ন দেখি।
আমি সমুদ্রে ডুবে থাকার স্বপ্ন দেখি।
আমি না-জামা না-কাপড় মেয়েমানুষের স্বপ্ন দেখি।
আমি কিন্তু
মৃত্যুর স্বপ্ন দেখিনা।
এবং
সেই ঘুমের মধ্যে অপেক্ষায় থাকি—
কখন বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখব।
স্মৃতি
রক্ত ক্ষরণে ক্রমে ক্রমে রক্তটা শুকিয়ে জমাট হয়ে গেল। আহত লোকটা তার নাম দিল স্মৃতি। তারপর সারাক্ষণ ধরে ঐ স্মৃতির দিকে গভীর অভিনিবেশে চুপচাপ তাকিয়ে রইল। ওর রক্তের সঙ্গে কি নিবিড় সম্পর্ক। আমি দেখলুম সারাক্ষণ স্মৃতির দিকে তাকিয়ে থাকার জন্যে লোকটাকে কেমন পাথরের মত দেখাচ্ছে। লোকটা যেন রক্তেরই মত জমাট হয়ে যাচ্ছে। আমার মনে হল ঐ আহত লোকটার নামও স্মৃতি।
সেই ভাঙা বাড়ীটা
সেই ভাঙা বাড়ীটা। নাবিকটি মদের গেলাসে চুমুক দিতে দিতে বলেছিল। এরমধ্যে সেই ভাঙা বাড়ীটা। বাড়ী থেকে চিঠি এসেছিল। বাড়ী থেকে চিঠি এসেছিল। তাতে লেখা ছিল এখানের সমস্ত কিছুর মধ্যেই সেই ভাঙা বাড়ীটা। নর্তকীর কপালের ওপর শিশিরের মত যে ঘাম চিকচিক করছিল, তারও মধ্যে সেই ভাঙা বাড়ীটা। চুম্বন আলিঙ্গনের মধ্যে বাতাস সমুদ্র জ্যোৎস্না। সেই ভাঙা বাড়ীটা। মদের গেলাসে চুমুক দিতে দিতে তার চোখে সম্মোহনের ছায়া নেমেছিল। তার শক্ত হাত, বুকের মধ্যে রাখা ছবি, বন্দরের হল্লা, মায়ের মত ঘনিষ্ঠ শৈশব— সব ঝাপসা হয়ে আসছিল। সব অন্ধকারে। বিদায়, বিদায়। শুধু সেই ভাঙা বাড়ীটা। তার মধ্যে। তার সমস্ত কিছুর মধ্যে। সেই ভাঙা বাড়ীটা। ডুবো পাহাড়ের মত সমস্ত সমুদ্রের মধ্যে সে শুধু দেখতে পেয়েছিল সেই অমোঘ ভাঙা বাড়ীটা। দুঃখিত নির্জনতার মত সেই ভাঙা বাড়ীটা।
আমি
ভেতরে
ক’জন অন্ধ
হাত বুলিয়ে বুলিয়ে
ছবিটা
দেখছে।
সজল বন্দোপাধ্যায়ের কবিতা মনোযোগ নিয়ে দেখলে খেয়াল করা যায়— নানা স্তর তিনি রেখেছেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছেন। একজন কবির বোধহয় এটাই প্রধান অস্ত্র। আমি ব্যক্তিগতভাবেও মনে করি, একই কবিতা একাধিক ভালো লেখার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ভাঙাচোরা। শ্রুতি আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ হয়েও তিনি আবদ্ধ থাকেননি। তিনি নিজের ভিতর ঘুমোতে চেয়েছেন। আবার স্বপ্নে দেখেছেন একটি ভাঙা বাড়ি নর্তকীর কপালে শিশিরে মতো ঘাম নিয়ে, মায়ের মতো ঘনিষ্ঠ শৈশব নিয়ে তাঁর ভিতরে ক্রমাগত হাত বুলিয়ে চলেছেন। তিনি অন্ধ। এই স্পর্শ তিনি অনুভব করছেন।
সজল বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু ‘আমি’ কবিতাটির জন্যই স্মরণে রাখা যায়। এই কবিতা দিয়েই আমার প্রথম পরিচয় ঘটে। কবিতাটির ভিতরে যে এত শক্তি, শ্লেষ তা ভাবা যায় না। কিছু কিছু কবিতা এভাবেই আসে যা কবিতাটি লেখার পর কবি বুঝতে পারেন। অন্ধকারে পায়চারি করতে করতে শব্দ থেকে কখন যে আলো বিচ্যুত হয়ে সারা ঘর ছড়িয়ে পড়বে তা কবিও জানেন না…
কবিতায় স্পেস যে কী মারাত্মকভাবে ব্যবহার হতে পারে, তা সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ের কবিতায় বোঝা যায়। দক্ষতার সঙ্গে স্পেস ব্যবহার করেছেন। ঘর-সংসার কবিতাটির— ‘সারা/ রাত/সারা/ দিন/ কাচের/ ওপর/ একা/ শু য়ে থা কা’ এটুকুই যদি খেয়াল করা যায় প্রথমে দেখব লাইন ব্রেক, তারপর দেখব ‘কাচের ওপর’ এই বাক্যকে মূল অ্যালাইনমেন্ট থেকে সরিয়েছে, এরপর ‘শু য়ে থাকা’ শব্দটি এভাবে ছাড়া ছাড়া রেখেছেন… এবার ভাবুন… ‘সারা দিন, সারা রাত’ মানে এই দীর্ঘ একটা সময় এটাকে তিনি দেখিয়েছেন যেন একটা বিরাট ঘর আর ওই ঘরে এক সাইডে খাটিয়ে পাতা রয়েছে। আর খাটিয়ার ওপর কবি সটান একাকীত্ব কাটাচ্ছেন। ‘শু য়ে থা কা’ এই ছাড়া ছাড়া শব্দটি যেন কবির দেহ। এই দৃশ্যময়তার কথা ভাবলেই চমকে উঠি… আবার যদি আরেকটি কবিতা ‘ক্যালেণ্ডার’ দেখি, সেখানেও কবি ভীষণ মুন্সিয়ানায় স্পেসের ব্যবহার করেছেন। একটি পাতা যেন কবি আমাদের সামনে ওলটাচ্ছেন… একটি পাতা বা অন্য পাতার পর কবি ইচ্ছে করলেই ড্যাশ (— ) ব্যবহার করতে পারতেন। কিন্তু সচেতনভাবেই করেননি। একটি পাতার পর যে স্পেস তা যেন সময়কাল। সময় যতই দ্রুত বয়ে যাক, হিসেবে করতে বসলে তার খতিয়ান মেটানো আমাদের পক্ষে খুব সহজ না। কবি যেন ওই স্পেসের মাধ্যমে আরও জোর দিয়ে বলছেন দ্যাখো, দ্যাখো…
কয়েকটি এমন কবিতা পড়ে নিই—
ঘর-সংসার
আমার
সারা
রাত
সারা
দিন
কাচের
ওপর
একা
শু য়ে থা কা।
ক্যালেণ্ডার
একটা পাতায় আমরঙের গন্ধ।
একটা পাতায় গায়ে কাঁটা দেওয়া কদমের মন কেমন করা।
একটা পাতায় শিউলিভাসা বুকতোলা নদী।
অন্য পাতায় শিশিরে কুয়াশায় হারিয়ে যাওয়া।
অন্য পাতায় বুড়ি ঠাকুমার নেই-পাতা-গাছ।
অন্য পাতায় রাজকন্যের প্রথম স্নানের সুখ।
লাল দেওয়ালে উড়ছে
এ কোন্ সালের ক্যালেণ্ডার!
দূরত্ব
যে মেয়েটা জঙ্গল থেকে ফিরছিল
চিতাবাঘের সঙ্গে দেখা করে—
যে লোকটা গরুর গাড়িতে কাঠ বোঝাই
পাহাড়ের সঙ্গে সারারাত—
যে গাড়িটা পথের ধুলো উড়িয়ে
বনের হরিণ তাড়িয়ে
মাঝরাতে শহরে—
সে সারাগায়ে বনের গন্ধ—
পাহাড় বন ঝর্ণা জন্ম মৃত্যু
কিছুই দেখা হল না
মেয়েটাকে দেখছি
লোকটাকে দেখছি
গাড়িটাকে দেখছি
আমার কিছুই জানা হল না—
স্পেসের সঙ্গে সঙ্গে কবিতার আকার নিয়ে বেশ কয়েকজন কবি, বিশেষ করে শ্রুতির কবিরা ভেবেছিলেন। আমি প্রথম পরেশ মণ্ডলের কবিতায় দেখেছিলাম জ্যামিতিক আকার। কবিতার ভালোমন্দ বিচার করা দায় ভার আমার না। তবে বাবা-মায়ের মতো অগ্রজ কবিদের জিনও আগামী তরুণ প্রজন্মের মধ্যে চলে আসে। কবিতার বাঁক পরিবর্তনে এই কবিতা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
সজল বন্দ্যোপাধ্যায়ে দুটো কবিতার কথা আমি এখানে বলব— ‘বৃষ্টি’ এবং ‘কারা কথা বলতে বলতে’। দু’টি কবিতার দিকে তাকালে আমারা চোখে সামনে দেখতে পারি যেন ওই দৃশ্য। কখনো তির্যক, কখনো লম্বালম্বিভাবে বৃষ্টি পড়ছে আবার গড়িয়ে যাচ্ছে জল, ভরে উঠছে পুকুর-নালা… আবার উপচে পড়ছে ওই জলধারা… কবিতাটির দিকে তাকালেই ছবি স্পষ্ট।
‘কারা কথা বলতে বলতে’ এই কবিতাটিও ব্যতিক্রম নয়। এই কবিতার visualisation একাধিক স্তরে। প্রথমে আমি এটাকে একটি মানুষের অবয়বের সঙ্গে তুলনা করতে পারি। দু-পাশে দুই চোখ, নাক, থুতনি… মানুষের মধ্যে দিয়েই যেন দেখিয়েছেন আমাদের সমস্ত আঁকবাঁক। দেখিয়েছেন বাসে, ট্রামে চলার সমান্তরাল পথ, ঘরের কোনে চেয়ার-টেবিল-বই। আবার দেখিয়েছেন নিজেকে খুঁড়তে খুঁড়তে কবরের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া… যেন নিত্যদিনের এক কোলাজ করছেন…
৩
কবি সজয় বন্দ্যোপাধ্যায় কবিতায় নানারকম এক্সপেরিমেন্ট নিয়ে নিজের চেতনা জগত থেকে অন্তর্জগতে পাঠককে নিয়ে পাড়ি দিয়েছেন। তিনি বেরিয়েছেন আবার ঘুরে ফিরে বাড়ি ফিরেছেন একই বিছানায় ঘুমিয়েছেন আর নিজেকে বার বার প্রশ্ন করেছেন— আমি একই কথায় কবিতা লিখি না কেন? আমি একই মানুষ থাকি না কেন? এ প্রশ্ন আমাদের চিরকালীন। এই উত্তর, আমরা কখনো জানার চেষ্টা করি না। একজন কবিতা লেখকের কাছে এ-উত্তর কোনো পায়রার পায়ে লেগে থাকা ধুলোর প্রলেপের মতো… আসলে আমাদের কাছে একটি সাদা পায়রা বা তার উড্ডয়ন গুরুত্বপূর্ণ…
ঋণ:
নীলাব্জ চক্রবর্তী
অনিন্দ্য রায়
শমীক ষাণ্ণিগ্রাহী
তথ্যস্বীকার:
সজল সরণী (গ্রাফিত্তি)
নির্বাচিত কবিতা (মহাদিগন্ত)
মিড় (পিলসুজ)